পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es शैनतकू शिद्धد (মৃত্যু : ১৪ জুন ১৮৬১) স্থতিরক্ষার সহায়তাকরে একটি বিরা সভার আয়োজন করিয়াছিলেন । এই স্মৃতিসভায় তিনি যে হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা করেন, সোমপ্রকাশ’ ( ১১ আগস্ট ১৮৬২ ) হইতে তাহা উদ্ধৃত করিতেছি – "সম্প্রতি এক দিন ঐযুক্ত বাবু রামতনু লাহিড়ী, শ্রযুক্ত বাৰু উমেশচন্দ্র দত্ত ও ঐযুক্ত বাৰু দীনবন্ধু মিত্র এই কয় মহাশয় সমবেত হইয়। মৃত মহাত্মা হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের স্মরণার্থ কলিকাতা নগরীতে প্রারব্ধ অট্টালিকার সাহায্য করণের মন্ত্রণা করেন। দীনবন্ধু বাবুই প্রধান সম্পাদকের ভার গ্রহণ করিয়া অকপট যত্ব সহকারে অত্ৰত্য মহারাজ বাহাদুরের আদেশানুসারে এক সভার অতুষ্ঠান করেন। ২৬এ জুলাই শনিবার বেলা ৪টার সময় পবলিক লাইব্রেরিতে এই সভা সংস্থাপিত হয়। কৃষ্ণনগরস্থ বহুতর ভদ্র ব্যক্তি সমাগত হইয়। এই সভামণ্ডপ মণ্ডিত করিয়াছিলেন। শ্রযুক্ত বাবু তারিণীচরণ ঘোষ মহাশয় সভাপতি পদে ব্ৰতী হন। অনন্তর দীনবন্ধু বাবু যে বক্তৃতা দ্বারা সমাগত সভ্যগণকে আদ্র করিয়াছিলেন তাহা নিম্নে প্রকটিত করা গেল । “হরিশ বাবু যেরূপ দেশহিতৈষী ছিলেন, হরিশ বাবু যেরূপ পরোপকারী ছিলেন, হরিশ বাবু যেরূপ স্থলেখক ছিলেন, হরিশ বাবু স্বদেশের উন্নতির জন্য যে পরিশ্রম করিয়াছেন, হরিশ বাবু রাজপুরুষদিগের যে সহায়তা করিয়াছেন, তাহাতে তাহার স্মরণার্থ কোন চিহ্ন স্থাপন করা না করা সমান, কারণ তিনি চিরস্মরণীয়, তিনি প্রাত.4রণীয়, তিনি ভুলিবার যোগ্য নন, তাহাকে ভুলেও ভোলা যায় না। হরিশ বাবুর স্বরণার্থে কোয় অট্টালিকা প্রস্তুত হউক বা না হউক তিনি আমাদের অন্তঃকরণ-অট্টালিকায় সতত বিরাজ করিতেছেন, হরিশ বাবুর স্মরণার্থ