পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীনবন্ধু ও বাংলা-সাহিত্য &s সাহায্য ব্যতীত নাটকাভিনয় করা একপ্রকার অসম্ভব হইত ; কারণ পরিচ্ছদ প্রভৃতির যেরূপ বিপুল ব্যয় হইত, তাহ নিৰ্ব্বাহ করা সাধারণের সাধ্যাতীত ছিল । কিন্তু আপনার সমাজচিত্র ‘সধবার একাদশী’তে অর্থব্যয়ের প্রয়োজন হয় নাই। সেই জন্য সম্পত্তিহীন যুবকবৃন্দ মিলিয়। সধবার একাদশী’ করিতে সক্ষম হয়। মহাশয়ের নাটক যদি না থাকিত, এই সকল যুবক মিলিয়া ‘ন্যাসাল্লাল থিয়েটার’ স্থাপন করিতে সাহস করিত না। সেই নিমিত্ত আপনাকে রঙ্গালয়শ্ৰষ্টা বলিয়া নমস্কার করি ।” मीनदकू 6 दांश्ल-नांश्ठिा ‘সধবার একাদশী’-রচনার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা-সাহিত্যে দীনবন্ধুর স্থান নিৰ্দ্ধারিত হইয়া গিয়াছে ; হালকা হাসি ও তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের ছলে যুগজীবনের এই মৰ্ম্মান্তিক ট্রাজেডি তিনি ভিন্ন আর কেহ রচনা করিতে পারিতেন না । এই নাটকখানি উচ্চ স্তরের সাহিত্য-প্রতিভার নিদর্শন । র্যাহারা সৰ্ব্বদেশীয় এবং সৰ্ব্বকালীন নাটক লইয়া আলোচনা করিয়ী থাকেন, তাহাদিগকে বলিতে শুনিয়াছি, বাংলা দেশে সকল দিক্ দিয়৷ নিখুঁত এই একটি মাত্র নাটকই এখন পর্য্যন্ত রচিত হইয়াছে। এই শ্রেণীর ব্যঙ্গপূর্ণ হাস্য-রচনাতেই দীনবন্ধুর প্রতিভা বিশেষ ভাবে ক্ষত্ত্বি পাইয়াছে। এই প্রতিভার সম্যক ফুরণের জন্য যে যে উপাদানের প্রয়োজন, দীনবন্ধুর তাহা পুরামাত্রায় ছিল ; বাংলা দেশের বিভিন্ন জেলা এবং বহু মাতুষ সম্বন্ধে তাহার বিচিত্র অভিজ্ঞতা ছিল ; বহু স্থানের প্রাদেশিক ভাষা তিনি নিখুত ভাবে বলিতে ও লিখিতে পারিতেন। তিনি মুরসিক ও স্ব-অালাপী ছিলেন। এই হিউমার-বোধের সঙ্গে