পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

». দীনবন্ধু মিত্র কবিত্বশক্তি যুক্ত হইয়া দীনবন্ধুকে বহুচরিত্রসম্বলিত সার্থক নাটক ও প্রহসনের জনয়িতা করিয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ "দীনবন্ধু মিত্রের কবিত্ব” বিষয়ক প্রবন্ধে দীনবন্ধুর সাহিত্যপ্রতিভা, কবিত্ব ও বাংলা-সাহিত্যে র্তাহার বৈশিষ্ট্য লইয়া আলোচনা করিয়াছেন। তাহাতেই বাংলা-সাহিত্যের সহিত দীনবন্ধুর সম্পর্ক সবিশেষে বিবৃত হইয়াছে। আমরা তাহা হইতে সামান্য অংশ উদ্ধৃত করিয়া দীনবন্ধু-কথা শেষ করিতেছি : “১৮৫৯৬০ সাল বাঙ্গাল সাহিত্যে চিরস্মরণীয়--উহ নূতন পুরাতনের সন্ধিস্থল। পুরাণ দলের শেষ কবি ঈশ্বরচন্দ্র অস্তমিত, নূতনের প্রথম কবি মধুসূদনের নবোদয়। ঈশ্বরচন্দ্র খাটি বাঙ্গলী, মধুসূদন ডাহা ইংরেজ। দীনবন্ধু ইহাদের সন্ধিস্থল। বলিতে পারা যায়, যে ১৮৫৯৬০ সালের মত দীনবন্ধুও বাঙ্গাল কাব্যের নূতন পুরাতনের সন্ধিস্থল। দীনবন্ধু ঈশ্বর গুপ্তের একজন কাব্য-শিস্য। ঈশ্বরচন্দ্রের কাব্যশিযদিগের মধ্যে দীনবন্ধু গুরুর যতটা কবি-স্বভাবের উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন, এত আর কেহ নহে। দীনবন্ধুর হাস্তরসে যে অধিকার তাহা গুরুর অনুকারী । বাঙ্গালীর প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে দীনবন্ধুর কবিতার যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, তাহীও গুরুর অতুকারী। যে রুচির জন্য দীনবন্ধুকে অনেকে দুযিয়া থাকেন, সে রুচিও গুরুর। কিন্তু কবিত্ব সম্বন্ধে গুরুর অপেক্ষ শিয়াকে আসন দিতে হইবে। ইহা গুরুত্বও অগৌরবের কথা নহে। দীনবন্ধুর হাস্যরসে অধিকার যে ঈশ্বর গুপ্তের অতুকারী বলিয়াছি, সে কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, দীনবন্ধু ঈশ্বর গুপ্তের সঙ্গে এক জাতীয় ব্যঙ্গ-প্রণেতা ছিলেন। আগেকার দেশীয় ব্যঙ্গ-প্রণালী এক জাতীয় ছিল—এখন আর এক