পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¥8 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তিনি সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া রঘুবংশ, সাহিত্যদর্পণ, কাব্য-প্রকাশ, রত্নাবলী, মালতীমাধব, উত্তররামচরিত, মুদ্রারাক্ষস, বিক্রমোর্কশী ও মৃচ্ছকটিক পারিতোধিক পাইয়াছিলেন। বেদান্ত-শ্রেণী : ১৮৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দে মে মাস হ ড় ১৮৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথম ভাগ পর্যন্ত দুই বৎসর কাল ঈশ্বৰ, বদান্ত-শ্রেণীতে শম্ভুচন্দ্র বাচস্পতির নিকট অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। এত দিন তিনি মাসিক ৫ বৃত্তি পাষ্টয়া আসিতে ছিলেন, কিন্তু ১৮৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাস হইতে ৮ নিৰ্দ্ধারিত হয়। বেদান্ত-শ্রেণীতে দ্বিতীয় বৎসর অধ্যয়ন করিবার পর, ১৮৩৭-৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দের বার্ষিক পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র প্রথম স্থান অধিকার করিয়া দশ টাকা মূল্যের পুস্তক—ময় (২২), প্রবোধচন্দ্রোদয় (২২), অষ্টাবিংশতি তত্ত্ব (৫২) এবং দত্তকচন্ত্রিকা ও দত্তকমীমাংসা (১২) পারিতোধিক পাইয়াছিলেন। স্মৃতি-শ্রেণী ঃ ১৮৩৮ খ্ৰীষ্টান্ধের প্রথম লগে ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতিশ্রেণীতে প্রবেশ করেন। মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ ও , মাহন তর্কালঙ্কার এই শ্রেণীতে তাহার সহাধ্যায়ী ছিলেন। হরনাথ তর্কভূষণ তখন স্মৃতিশাস্ত্রের অধ্যাপক। ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতি-শ্রেণীতে এক বৎসর অধ্যয়ন করিয়াছিলেন এবং পূর্ববং মাসিক ৮ বৃত্তি পঠিয়ছিলেন। এই শ্রেণীতে তাহাকে মনুসংহিতা, মিতাক্ষর, দায়ভাগ, দ ফুকমীমাংস ও দত্তকচন্ত্রিকা, দায়তত্ত্ব, দায়ক্রমসংগ্রহ ও ব্যবহারতত্ত্ব পড়িতে হইয়াছিল। শম্ভুচন্দ্র লিখিয়াছেন, হরচন্দ্র "তর্কভূষণ মহাশয়, দশ স্তুে পারদর্শী ছিলেন বটে ; কিন্তু প্রাচীন স্মৃতিশাস্ত্রে তাহার তৎপ বিশেষ দৃষ্টি ছিল মা ; সুতরাং স্মৃতির ব্যবহারাধ্যায়ে ভালরূপ ব্যবস্থা স্থির করিতে অক্ষম ছিলেন। যদিও অগ্রজ স্মৃতির শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হইয়াছিলেন, তথাপি ঐ পণ্ডিতের নিকট অধ্যয়ন করিয়া মনের তৃপ্তি জন্মাইত না ; একারণ,