পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারীচঁাদ মিত্র ও বাংলা-সাহিত্য এ সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র “বঙ্গালা সাহিত্যে vপ্যারীচঁাদ মিত্রের স্থান"* নামক প্রসিদ্ধ প্রবন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করিয়াছেন। আমরা নিম্নে তাহা হইতে প্রয়োজনীয় কথাগুলি উদ্ধৃত করিবার পূৰ্ব্বে সীমান্য দুইচারিটি কথা বলিব। সহজ সৰ্ব্বজনবোধ্য ভাষাকে ভাবপ্রকাশের বাহন করিবার চেষ্টা প্যারীচাদের পূৰ্ব্বে একাধিক জন করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহা হয় মাত্র কথোপকথনে বা কথকতায়, অথবা রচনা-রীতির একটি বিশিষ্ট উদাহরণ হিসাবে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমাদ্ধের ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' অথবা উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভের কেরী-সঙ্কলিত ‘কথোপকথন প্রথমোক্ত চেষ্টার নিদর্শন ; মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘প্ৰবোধচন্দ্রিকা’য় দ্বিতীয় চেষ্টার নিদর্শন অনেক আছে। কিন্তু এই ভাষাকে বাংলা-সাহিত্যের সর্বববিধ রচনার বাহন করিবার প্রথম ব্যাপক চেষ্টা প্যারীচাদই করেন। কালীপ্রসন্ন সিংহ আরও কৃতিত্বের সহিত এই আন্দোলন চালাইয়াছিলেন; তিনি প্রধানত: মৌখিক বুলির সাহায্য লইয়াছিলেন। 'মাসিক পত্রিকা প্রকাশে প্যারীচাঁদ এবং তাহার সহযোগী রাধানাথ সিকদারের দুঃসাহসিকতা আজও আমাদের বিস্ময়ের বিষয়। উনবিংশ শতাব্দীর ষষ্ঠ দশকে ইহার এই সাহস প্রদর্শন না করিলে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে আমরা বাংলা-সাহিত্যের এমন উন্নতি ও প্রসার আশা করিতে • ১৮৯২ সনের ডিসেম্বর মাসে ক্যানিং লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত লুপ্তরাষ্ট্রাদ্ধার বা ৮ প্যারীচা মিত্রের গ্রন্থাবলীর ভূমিকা।