পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারীচাঁদ মিত্র و& بهSt পড়িল, কেবল কথা এড়িয়ে যায় নাই এই সংবাদ নিবামাত্র তাহার মা ও স্ত্রী ও পুত্রেরা তৎক্ষণাৎ নিকটে অঞ্জ অতিশয় উদ্বিগ্ন ও বিষঃ হুইয়া বসিলেন, দুই এক জন আত্মীয়ের পরামর্শে ডাক্তর হেয়ার সাহেবকে আনাইলেন। ডাক্তর সাহেব ভবানীবাবুর পিতার মুকুব্বি ছিলেন, তাহার পিতার বিষয়কৰ্ম্ম ডাক্তর সাহেবের সুপারিসে হইয়াছিল, তিনিও নানা প্রকারে সাহেবের নিকট উপকৃত হন। ভবানীবাবুর বাল্যাবস্থায় ডাক্তর সাহেবের বাটতে সৰ্ব্বদাই যাইতেন কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর একবারও তাহার খ্ৰীষ্টপাড়া নাই। ডাক্তর সাহেব ভবানীবাবুর সংক্রান্ত সকল কথা শুনিয়া অশ্চির্য্যাম্বিত হইয়া খেদ ও দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। ভবানীবাবুর মাতা কাদিতে ২ ডাক্তর সাহেবের পায়ে জড়িয়া পড়িয়া বলিলেন—বাবা তোমার অন্নে আমাদের শরীর—এক্ষণে ছেলেটিকে যাতে পাই ত৷ কর। ডাক্তর সাহেব অনেক ভরসা দিয়া বিশেষ মনোযোগী হইয়। দেখিতে লাগিলেন। কয়েক দিন হইল মদ কেমন ভবানীবাবু চক্ষে দেখেন নাই— মাতাল বাবুদেরও আসা যাওয়া বন্ধ হইয়াছে। আপনি বিছানায় পড়ে—উঠিবার তাক নাই—পরিবারের কেহ না কেহ ধরিয়া উঠাচ্ছে—বসাচ্ছে—খাওয়াচ্ছে—শোয়াচ্ছে। তিনি যাহাতে সোয়াস্থি পাণ—যাহাতে ভাল থাকেন, প্রাণপণে তাহাই ক" । এইরূপ স্নেহ দেখিয়া ভবানীবাবুর অন্ত:করণ এক২ বার "ম হইতেছে— তিনি মনে২ কহিতেছেন-হায়! আমি কি কুকৰ্ম্ম করিয়াছি! পরিবারকে যৎপরোনাস্তি ক্লেশ দিয়াছি, তাহাদিগের কথা কখন শুনি নাই, কিন্তু আমার এই অসময়ে তাহারা প্রাণ দিতে উষ্ঠত। তিন চার দিবসের পর ডাক্তর সাহেব আসিয়া ভাল করিয়া দেখিয়া