পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্র-জীবন - ? ) স্থায়-শ্রেণী ঃ ১৮৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথম ভাগে ঈশ্বরচন্দ্র ন্যায়শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। নিমাইচন্দ্র শিরোমণি এই শ্রেণীতে অধ্যাপনা করিতেন। এই বৎসর (১৮৩৯) ২১ মে তারিখে সকল বিভাগের বহু ছাত্র সংস্কৃত কলেজে ইংরেজী-বিভাগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সেক্রেটরী জি. টি. মাশেলের নিকট আবেদন করেন। এই আবেদনপত্রে স্বায়ু-শ্রেণীর ছাত্রবর্গের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্রেরও স্বাক্ষর আছে । আবেদনকারীরা লিখিয়াছিলেন :– ন্যায়শাস্বাধ্যায়িনাং ছাত্রাণাং “...আমারদিগের দুর্ভাগ্যবশতঃ কেবল সংস্কৃত পাঠশালাতেই ইংরাজিভাষাধ্যয়নের রীতি উঠিয়া গিয়াছে কিন্তু মাদশাতে উক্তভাষাধ্যয়ন ক্রমে বৃদ্ধি হইতেছে ইহাতে কেবল আমারদিগেরই ছুর্ভাগ্য বলিতে হইবেক নতুবা যে রাজা এতদ্দেশে ইংরাজি বিদ্যাবৃদ্ধার্থে যত্বপূৰ্ব্বক বহুতর ধন ব্যয় করিয়া বিদ্যালয় সংস্থাপন করিতেছেন তাহার যে কেবল এতন্মহানগরস্থ প্রধান বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের উক্তভাষাভ্যাসবিষয়ে অমনোযোগ হইয়াছে ইহা কোনরূপেই সম্ভব মহে অতএব এইক্ষণে প্রার্থন যে অনুগ্রহপূর্বক রত্যহুসারে আমারদিগের ইংরাজি ভাষা ভ্যাসের অনুমতি প্রকাশ হয় তাহা হইলে ক্রমে রাজকীয় কাৰ্য্য ও শিল্পাদি বিদ্যা জানিয়া লৌকিক কাৰ্য্য নির্বাহে সমর্থ হইতে পারি—লিপিরিয়ুং জ্যৈষ্ঠস্তাষ্ঠদিবসীয়া—” ১৮৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে হায়-শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে ঈশ্বরচন্দ্র একটি রচনাপ্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করিয়াছিলেন : “পশ্চিম অঞ্চলে, { সাহারাণপুরে } জন মিয়র নামে, এক অতি মহানুভাব সিবিলিয়ান ছিলেন। ঐ মাননীয় বিদ্বোংসাহী মহোদয়ের