পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२३२ প্যারীচঁাদ মিন্ত্র রে; কৃষ্ণমোহন বলোপাধ্যায় প্যারীচাঁদকে দেশীয় ও ইউরোপীয় সমাজের মধ্যে যোগসূত্র-স্বরূপ বর্ণনা করিয়া তাহার মৃত্যুতে এই যোগসূত্র ছিন্ন হইল বলিয়া দুঃখ করিয়াছিলেন। বস্তুতঃ ইহাই প্যারীচাদের সত্যকার পরিচয় ছিল । নানা ধৰ্ম্ম ও সংস্কৃতির সংঘাতে যে যুগে প্রত্যেকেই আপন আপন গণ্ডী বাচাইয়া চলাই নিরাপদ বিবেচনা করিত, সে যুগে প্যারীচঁাদের মনের সংস্কার-মুক্তি এবং উদারতা সত্যই অভাবনীয়। তিনি পরার্থপর ছিলেন বলিয়াই ধৰ্ম্ম, দেশ বা জাতির বন্ধন তাহার বিশ্বমৈত্রীর পথে বাধার স্থষ্টি করিতে পারে নাই । প্যারীচঁাদের মৃত্যুতে বিখ্যাত হিন্দু পেটুরিয়ট (২৬ নবেম্বর ১৮৮৩) সংক্ষেপে যে প্রশস্তি করিয়াছিলেন, তাহার একটি পংক্তিতে প্যারীচাদের {{{ of So asso–"In him the country loses a literary vetern, a devoted worker, a distinguished auther, a clever wit, an earnest patriot, and an enthusiastic Fpiritual enquirer" অর্থাৎ,−র্তাহার মৃত্যুতে দেশ একজন সাহিত্য-নায়ক, একনিষ্ঠ কৰ্ম্মী, বিশিষ্ট গ্রন্থকার, সুচতুর রসিক, অকপট 'দেশপ্রেমিক এবং উৎসাহী পরলোক-তান্ধীকে হারাইল। একাধারে এতগুলি গুণের সমাবেশ বাংলা দেশে বড় বেশী দেখা যায় নাই। বঙ্কিমচন্দ্র ভাষা-সংস্কার ও উপন্যাসরচনার জন্য প্যারীচঁাদকে প্রশংসা করিয়া অমরত দান করিয়াছেন, আমরা তাহার অপরাপর কীৰ্ত্তির প্রতিও বর্তমান যুগের বাঙালীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে চেষ্টা পাইয়াছি। আশা করি, প্যারীচার্তাহার স্বকীয় মহিমায় স্বদেশবাসীর চিত্তে দীর্ঘকাল জাগ্রত থাকিবেন।