উপক্ৰমণিকা ū. শতাব্দীর প্রথম দিকে নব্যশিক্ষা লাভের ফলে বাঙালী জাতির নবজীবনের সঞ্চার হয়। যাহাঙ্গের মুকুতিগুণে ইহা সম্ভবপর হইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে রাজা রাধাকান্ত দেব এক জন । রাধাকান্ত প্রাচীন কীর্কি বজায় রাখিয়া তাছার উপর সংস্কৃতির নূতন সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিতে চাহিয়াছিলেন। এ জন্ত তাহার কোন কোন কাৰ্য্য পরবর্তী কালে নিলিত হইয়াছে। আসল মানুষটিকেও এখন আমরা জুলিতে বসিয়াছি। তিনি কি ধরণের মানুষ ছিলেন ও সমাজের হিতার্থে কি কি কাজ করিয়াছিলেন, তাহ জানাও যেন প্রয়োজন বোধ করি না। হিন্দুকলেজের স্বচনা হইতে পরবর্তী চৌত্ৰিশ বৎসরের কাৰ্য্যবিবরণ, স্কুল সোসাইটির কার্য্যবিবরণ, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ৯ ব্যক্তিকে লিখিত রাধাকাস্তুের পত্রাবলী ও সমসাময়িক সংবাদপত্র হইতে র্তাহার সম্পর্কে বহু তথ্য নূতন করিয়া জানা সম্ভব হইয়াছে। এই সব তথ্যের নিরিখে আমরা আসল মামুষটির একটা স্পষ্ট ধারণা করিয়া লইতে পারি। কলিকাতা শোভাবাজার-নিবাসী মহারাজা নবকৃষ্ণ লর্ড ক্লাইবের মুন্শী ছিলেন। তাহার গৃহে রাজস্ব ও অন্তান্ত সংক্রান্ত কয়েকটি সরকারী আপিস ছিল। নবকৃষ্ণ এসবের কর্তা ছিলেন। ক্লাইভ ও বিস্তর সাহেব-মুবার্তাহার গৃহে প্রায়ই যাতায়াত করিতেন। নবকৃষ্ণের পরিবারের লোকজন ইংরেজ-চরিত্র প্রত্যক্ষভাবে অনুধাবন করিবার i মুযোগ পাইয়াছিলেন। 噶
পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।