পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቋe রাধাকান্ত দেব পত্রে এই মর্থে লেখেন যে, প্রাচ্যবাসীদের মধ্যে শিক্ষার প্রচারে প্রথম শ্রেণীর অক্লান্তক নিষ্ঠাবানু মিশনরীদের প্রতিভা নিয়োজিত হইয়াছে। কিন্তুষ্ঠার স্বদেশবাসীরা ইহা দ্বারা আশঙ্কুরুপ লাভবাৰ হয় নাই, কারণ, ঐtধৰ্ম্ম প্রচার এই শিক্ষার এক প্রধান অঙ্গ হুইয়া দাড়াইয়াছে। এখানে প্রসঙ্গত: আর একটি কথা বলা প্রয়োজন। খ্ৰীষ্টানমিশনীদের . ধৰ্ম্মপ্রচার কার্য্য ব্যাহত করিবার জন্ত এক দিকে যেমন অবৈতনিক ইংরেজী বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, অন্ত দিকে তেমনি যে-সব হিন্মু ইতিপূৰ্ব্বে খ্ৰীষ্টধর্মে দীক্ষিত হইয়াছিল, তাহাঙ্গের পুনরুদ্ধারের জন্ত ঐ সময় পতিতোদ্ধার সভা” গঠিত হয়। এই উদ্দেশ্বে প্রথম সাধারণ সভা হয় ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৫ মে চিৎপুরস্থ ওরিয়েণ্টাল সেমিনারি গৃহে, এবং ইহার সভাপতিত্ব করেন রাজা রাধাকান্ত দেব। পতিতোদ্ধার সভার পক্ষে বঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের পণ্ডিতদের নিকট হইতে পাতি সংগ্ৰহ করিয়া ভিন্নধৰ্ম্মে দীক্ষিত হিন্দুদের পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। ১৭৭৫ শকে ( ১৮৫৩-৫৪ খ্ৰীষ্টাকে ) মুদ্রিত বহু পণ্ডিতের নাম, তাহাদের প্রদত্ত পাতি এবং পুনরুদ্ধার সম্বন্ধে সাধারণ আলোচনা-সম্বলিত একখানি পুস্তিক রাজা "রাধাকান্ত দেবের পারিবারিক গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে। .রাধাকাস্তের নেতৃত্বে ভারন্ধ এই আন্দোলনকে সে যুগের বিখ্যাত ইংরেজী সাপ্তাহিক ফ্রেও অব ইণ্ডিয়া (৫ জুন ১৮৫১) উনবিংশ শতাব্দীর অন্ততম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন ("One of the most important events that has occurred in India in the present century.”) ১৮৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে হিন্দুকলেজের সহিত রাধাকাস্তের সংস্রব ছিন্ন হয় বলিয়াছি। "ইছার দুই বৎসর পরে শিক্ষা সম্পর্কে অন্য যে একটি আন্দোলন আরম্ভ হয়, তাহার সঙ্গেও তিনি ধনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।