পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y ڈگئی۔۔ , v i गशास्त्र ক্ষৱিাছিল, সেগুলির উল্লেখ ধাত্র কবি বর্তমানে দুপ্রাপ্য, প্রয়োজনমত সেগুলি অংশত উদ্ধৃত কবিৰ । শচীশচন্দ্র দুর্গেশনন্ধিনী-রচনার যে ইতিবৃত্ত দিয়াছেন, তাহাতে দেখা যায়, ইং ১৮৬২ খ্ৰীষ্টাৰে বঙ্কিমের ২৪ বৎসর বয়সে আরম্ভ হইয়া ১৮৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহার খুলনায় অবস্থানকালে শেষ হয় । পুস্তকের গুণাগুণ নিজে ঠাহর করিতে না পারিয়া তিনি জ্যেষ্ঠ শু্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্রকে পাণ্ডুলিপি পড়িতে দেন। তাহারা পুস্তকখানি প্রকাশের অধোগ্য বিবেচনা করাতে “বঙ্কিমচন্দ্র ভগ্নহৃদয়ে দুর্গেশনন্দিনীর পাণ্ডুলিপি লইয়া কৰ্ম্মস্থলে প্রস্থান" করেন।* ১৩০৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ়-সংখ্যা ‘প্রদীপে বারুইপুরে বঙ্কিমচন্দ্রের সহকৰ্ম্মী কালীনাথ দত্ত-লিখিত "বঙ্কিমচন্দ্র” শীর্ষক স্মৃতি-কথা পাঠে বুঝা ধায়, বঙ্কিমচন্দ্র বারুইপুরে আসিয়া ‘দুর্গেশনন্দিনী’ সমাপ্ত করেন। ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে বঙ্কিমচন্দ্র বারুইপুরে বদলি হন। স্বতরাং শচীশবাবুর উক্তি ঠিকু নহে। দুর্গেশনন্দিনী’ ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্পূর্ণ হইয়া ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথমার্দ্ধেই প্রকাশিত হয়। - ‘দুর্গেশনন্দিনীর 'আইভানহো-সম্পর্কিত একটা অপবাদ বরাবর আছে, বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং চন্দ্রনাথ বস্তু, শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার ও কালীনাথ দত্তের নিকট বলিয়াছিলেন, ‘দুর্গেশনন্দিনী’-রচনার পূৰ্ব্বে তিনি 'জাইভ্যানুহো পড়েন নাই। কালীনাথ দত্ত লিথিয়াছেন, “আমি তাঙ্কার honesty unimpeachable বলিয়া বিশ্বাস করি।" শ্রযুক্ত অক্ষয়কুমার দত্তগুপ্ত

  • বঙ্কিম-জীবনী ৩য় সং, পৃ. ২৬১।

কালীনাথ দত্ত : বঙ্কিম প্রসঙ্গ, পৃ. ২১৫ ।