পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-জীবন to কিন্তু তিনি যে কেবল অভয় দিতেন, সান্ধন দিতেন, অভাব পূর্ণ করিতেন, তাহা নহে, তিনি দর্পহারীও ছিলেন । এখন র্যাহারা সঙ্গ-সাহিত্যের সারণ্য স্বীকার করিতে চান হার দিনে নিশীথে বঙ্গদেশকে অত্যুক্তিপূর্ণ স্তুতিবাক্ষ্যে নিয়ত প্রসন্ন রাখিতে চেষ্টা করেন কিন্তু বঙ্কিমের বাণী কেবল স্তুষিাদিনী ছিল না, পঙ্গধারিণীও ছিল।---সাহিত্যমহারথী বঙ্কিম, দক্ষিণে ৰামে উভয় পক্ষের প্রতিই লঙ্গ শরচালন করিয়া অকুষ্ঠিত ভাবে অগ্রসর হইয়াছেন—ষ্ঠাস্থায় নিজের প্রতিভা কেবল ষ্টাঙ্গার একমাত্র সহায় ছিল। তিনি যাহা বিশ্বাস করিয়াছেন তাছা স্পষ্ট ব্যক্ত করিয়াছেন—বাক্‌চাতুর দ্বারা আপনাকে বা অন্তকে বঞ্চনা করেন নাই – রবীন্দ্রনাথ ; আধুনিক-সাহিত্য'। এই সব্যসাচী, দণ্ডবিধাতা, কৰ্ম্মযোগী, খড়গধারী, দৰ্পহারী, মহারথ, ৰীৱশ্রেষ্ঠ বঙ্কিমচন্দ্র সেই মহাদুৰ্য্যোগের কালে দৃঢ়হন্তে বঙ্গসাহিত্য-তরণীর কর্ণধার হইয়াছিলেন বলিয়াই তাহ বানচাল হয় নাই, তাহার আবির্ভাবের শতাব্দীপাদের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবও সম্ভব হইয়াছে। প্রথমে এই পর্কের প্রবন্ধগুলির কথাই বলি। 'বিজ্ঞানরহস্য’ ও ‘नाटशा'द्र फेल्ल४ श्रूहेि कब्रिाझि-बश्शिकtअद्र दह कौठिंद्र अछाउण শ্রেষ্ঠ কীৰ্ত্তি ‘বিবিধ প্রবন্ধের উল্লেখ বিশেষভাবে প্রয়োজন। ‘বঙ্গদর্শনের জন্যই এগুলি সম্ভব হইয়াছিল । সুতরাং 'বঙ্গদর্শনের আবির্ভাব একটা সামান্ত সাময়িক ঘটনা মাত্র নয়, বাংলা-সাহিত্যের পরবর্তী সমস্ত ইতিহাসই এই একটি ঘটনার দ্বারা প্রভাবান্বিত হইয়াছে। মাইকেল মধুসূদনের আবির্ভাব যেমন বাংলায় নূতন কাব্যধারার প্রবর্তন করিয়া দার্থক হইয়াছিল, বঙ্কিমচন্দ্রের আবির্ভাব যেমন বাংলার কথাসাহিত্যকে সঞ্জীবিত ও পল্লবিত করিয়া সার্থক হইয়াছিল, ‘বঙ্গদর্শনের আবির্ভাবের