পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সমসামরিক সমাজ-সমস্তাকে এড়াইয়া গেলে চলি ে এই কারণে যুদ্ধপৰ্ব্বে অন্যান্ত আয়োজনের সঙ্গে সে যুগের বঙালী-সমাজের যে দুইটি বৃহত্তম সমস্ত-বিধবাবিবাহ এবং বহুবিবাহ, তাহা লইয়াই তিনি উপন্যাস রচনা করিতে বদিলেন। যুদ্ধপর্বের প্রথম উপন্যাস ‘বিষবৃক্ষের ইহাই গোড়াপত্তন। বিষবৃক্ষে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রার্থিত ফল ফলিয়াছিল। ‘বঙ্গদর্শনের প্রথম সংখ্যা হইতে ইহার ধারাবাহিক প্রকাশ আরম্ভ হইবার সঙ্গে সঙ্গে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয়বিধ শিক্ষায় শিক্ষিত পণ্ডিতেরা বাংলা ভাষার প্রতি দীর্ঘ দিনের অবহেলা বিস্তৃত হইয়৷ এই অপূৰ্ব্ব চমকপ্রদ কাহিনীর অনুসরণ করিতে লাগিলেন । এই 'বিষবৃক্ষে'র দ্বার বঙ্কিমচন্দ্রের মনের গোপন উদ্দেশ্য প্রভূত পরিমাণে সাধিত হইল। 'বিষবৃক্ষ’ প্রকাশের পর বাংলার শিক্ষিত মহলে যে আলোড়ন উপস্থিত হইয়াছিল, সমসাময়িক সমালোচনায় তাহার পরিচয় আছে। সুবিখ্যাত ‘ক্যালকাট রিভিউ পত্রের সমালোচক লিখিয়াছিলেন :– This novel...was to be found in the baitakhana of every Bengali Babu throughout the whole of last year. It is quite of a different character from its predecessors While the others were all historical, "men and women as they are, and life as it is,” is the motto of the present one-The Calcutta Review, No. criv, Critical Notices, pp. w-wi. উদ্যোগপর্কের এবং যুদ্ধপর্কের 'বিষবৃক্ষ’-পৰ্যায়ের উপন্যাসগুলির পার্থক্য সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী কালে যাহা লিখিয়াছেন, তাহ আমাদের সর্বদা স্মরণীয়। তিনি বলিয়াছেন— বঙ্গদর্শন যে জিনিসটা মেদিন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে সকলের মনকে মাড় দিয়াছিল সে হচ্ছে বিষবৃক্ষ। এর পূৰ্ব্বে বঙ্কিমচন্ত্রের লেখনী থেকে দুর্গেশনন্দিনী