পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

så বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সামাজিক পটভূমিকায় প্রতাপ-শৈবলিনীকে লইয়া তিনি অধিক দূর অগ্রসর হইতে পারিতেন না । বঙ্কিমচন্দ্র তাহার অন্যান্য উপন্যাসে যে রীতি অবলম্বন করিয়াছেন, ইন্দিরা ও রজনীতে তাহার ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয়; সর্বত্র উপন্যাস্কার গল্প বলিয়াছেন, ‘ইন্দিরায় ইন্দিরাই বক্তা, রজনী'তে বিভিন্ন চরিত্র নিজেরাই আপন আপন বক্তব্য বলিয়া গল্পের ধারা বজায় রাখিয়াছে। উইস্কি কলিন্সের Woman in White-এ অবলম্বিত পদ্ধতি যে বঙ্কিমচন্দ্র গ্রহণ করিয়াছেন, তাহ “বিজ্ঞাপনে” স্বীকার করিয়াছেন, ŠtęTā Riffs gé fittax Last Days of Pompeii-tR wv ফুলওয়ালী নিদিয়ার স্মরণে চিত্রিত হইয়াছে। নানা অসঙ্গতি ও অভাব সত্ত্বেও বাংলা উপন্যাস-সাহিত্যের ইতিহাসে রজনী'র বিশিষ্ট স্থান থাকিবে; ইহা বাংলা ভাষায় সৰ্ব্বপ্রথম মনস্তত্ববিশ্লেষণমূলক উপন্যাস। ইহাতে নায়ক নায়িকার র্যানসিক দ্বন্দ্ব এবং চিন্তার ঘাত প্রতিঘাতকে ঘটনা-বৈচিত্র্যের উপরেও স্থান দেওয়া হইয়াছে; সে যুগের বর্ণনা-বহুল রোমাণ্টিক উপন্যাসের ক্ষেত্রে ইহা অভিনব সন্দেহ নাই। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস ও গল্পগুলিকে তিনটি বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা * স্বায়ু, পূৰ্ব্বেই এ কথা বলিয়াছি। প্রথম স্তরে, উদ্যোগপর্বের তিনখানি উপন্যাস—‘দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা ও মৃণালিনী; তৃতীয় স্তরে ‘আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী’ ও ‘সীতারাম ; বাকী সবগুলি গল্প ও উপন্যাস দ্বিতীয় স্তরের অন্তর্গত। দ্বিতীয় স্তরের প্রথম উপন্যাস বিষবৃক্ষ এবং শেষ উপন্যাস 'কৃষ্ণকাস্তের উইল’। অবশু সময়ের দিক দিয়া বিচার করিলে কৃষ্ণকান্তের উইলের পরেও দ্বিতীয় স্তরে তাহার “ক্ষুদ্র কথা" 'রাজসিংহ প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণের রাজসিংহকে উপন্যাসের পর্যায়ে ফেলা যায় না। ১৮৮২ খ্ৰীষ্টান্ধে প্রকাশিত ৮৩ পৃষ্ঠার