পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গদ্যোপাধ্যা ওমোহিতলাল মজুমদার প্রভৃতি। পাঁচকড়ি বন্ধ্যোপাধ্যায় লিখিয়াছেন – এই তিনখানি উপন্যাস ৰাঙ্গালীর প্রকৃতির আধারে বঙ্কিমচন্দ্র সমষ্টি, বাষ্ট এবং সমন্বয়ের অনুশীলন-পদ্ধতি পরিস্ফুট করিয়াছেন। আনন্দমঠে সমষ্টির বা সমাজের ক্রিয় দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন; দেবী চৌধুরাণীতে ব্যক্তিগত সাধনার উন্মে-প্রকর বুঝাইবার প্রাস পাইয়াছেন, সাঁতারামে সমাজ ও সাক্ষ সম্মিলিত হইলে কেমন করিয়া একটা State ৰ স্বতন্ত্র শাসন সৃষ্ট হইতে পারে, তাহার গর্ধ্যায় দেখাইয়াছেন।--সন্ন্যাসীর গৈরিক লেখা তাহার শেষ তিনখানি উপস্তাসে যেন উজ্জ্বল হইয় ফুটয় আছে। বঙ্কিমচন্ত্রের বিশ্বাস ছিল যে, বাঙ্গালায় ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ, এই দুই জাতি ছাড়া সমাজের কোনরূপ ভাঙ্গা গড়া হয় নাই। তাই তিনি এই তিনখানি উপস্থাসে বাঙ্গালার ব্রাহ্মণ ও কায়ন্থের চিত্র উজ্জ্বল করিয়া অঙ্কিত করিয়াছেন।.এই তিনখন উপন্যাস বঙ্কিমচন্ত্র বাঙ্গালীত্বের শ্লথ ও অপহৰ ফুটাইয় দেখাইয়াছেন, কিছুই ঢাকিতে চেষ্টা করেন নাই –নারায়ণ বৈশাখ, ১৩২২ | আসল কথা, শাস্তিপর্কে যে অনুশীলন-তত্ত্ব লইয়া তিনি অবিরত মাথ৷ ঘামাইতেন, তাহারই সহজ প্রচারের জন্য তিনি এই তিনটি উপন্যাস প্রচারের আয়োজন করিয়াছিলেন। তিনি নিজেই এগুলিকে “অনুশীলনতত্ব” প্রচারের একটা “কল” বলিয়া গিয়াছেন। ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দের অক্টোবর-নবেম্বর মাসে শোভাবান্ধান্থ-রাজবাটীর একটি শ্রাদ্ধ-অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করিয়া পাদরী হেষ্টি স্টেটস্ম্যান' পত্রিকায় হিন্দুধর্মের উপর যে আক্রমণ করিয়াছিলেন, “রামচন্দ্র” এই ছদ্ম নামে তাহার জবাব দিতে গিয়া হিন্দুধর্মের মূল তত্ত্বগুলি সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের মনে নানা প্রশ্ন জাগে। ইহা ‘আনন্দমঠ প্রকাশের অব্যবহিত পরের