পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘটনা। তৎকালীন প্রসিদ্ধ দার্শনিক পণ্ডিত “পঞ্জিটিভিস্ট” বোগেন্দ্রচঞ্জ costs fifts first Letters on Hinduism of oil & অসম্পূর্ণ পত্রগুলিতে হিন্দুধর্মের মূল তত্বের ব্যাখ্যার একটা প্রয়াস আছে। ইহার পরেই দেবী চৌধুরাণী-ইহার দ্বিতীয় খণ্ড পৰ্যন্ত প্রকাশ করিয়া বঙ্গদর্শন বিলুপ্ত হয়। সম্পূর্ণ পুস্তক প্রকাশিত হয় ১৮৮৪ খ্ৰীষ্টাধের গোড়াতেই। ঐ বৎসরের জুলাই মাস (শ্রাবণ, ১২৯১ ) হইতে বঙ্কিমচন্দ্র-পরিচালিত ‘প্রচার’ পত্রিকার আবির্ভাব ঘটে। ঐ শ্রাবণ মাস হইতেই অক্ষয়চন্দ্র সরকার-সম্পাদিত ‘নবজীবন’ বাহির হইতে থাকে। এই দুইটি সাময়িক-পত্রের সহায়তায় বঙ্কিমচন্দ্র হিন্দুধৰ্ম্ম সম্বন্ধে তাহার নূতন ধারণা প্রচার করিতে থাকেন। এই প্রচারে ‘সীতারাম’ অন্যতম “কল” মাত্র। প্রথম সংখ্যা ‘প্রচার হইতেই উহা বাহির হইয়। ১২৯৩ বঙ্গাব্দের মাঘ পর্য্যস্ত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় ; মধ্যে কয়েক মাস বন্ধ ছিল। মতবাদ যাহাই হউক, শিল্পশ্বষ্টির দিক্ দিয়াও বঙ্কিমচন্দ্র এই উপন্যাস তিনখানিতে অনেক বৈচিত্র্য সম্পাদন করিয়াছেন। বঙ্কিমের ভাষা ও বর্ণনাভঙ্গী এইখানেই চরম বিকাশ লাভ করিয়াছে। ‘জুর্গেশনন্দিনীর ভাষার সহিত সীতারামের ভাষা তুলনা করিয়া দেখিলে সহজেই প্রতীয়মান হইবে যে, বঙ্কিমচন্দ্র এ বিষয়ে নিত্য প্রগতিশীল ছিলেন। ভাষা সরল ও সহজবোধ্য করিবার জন্য তিনি অলঙ্কার ও অন্যান্য উপকরণ বর্জন করিতে দ্বিধা করেন নাই। র্যাহারা মনে করেন, এই পর্বের শেষের দিকে তাহার প্রচারবুদ্ধি শিল্পবুদ্ধিকে খণ্ডিত করিয়াছিল, তাহারা তাহার মৃত্যুর এক বৎসর মাত্র পূৰ্ব্বে প্রকাশিত ‘ইন্দিরা ও রাজসিংহের পরিবর্দ্ধিত সংস্করণ ভাল করিয়া দেখিলেই মত পরিবর্তন করিতে বাধ্য হইবেন। এই রাজসিংহই রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করিয়াছিল। শেষ