পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগ বাংলাসাহিত্যে পাশ্চাত্তা ভাবের আমদানি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান শিক্ষার সুবিধার জন্য ১৮২৭ খ্ৰীষ্টাবের মে মাসে সংস্কৃত কলেজে একটি ইংরেজী-শ্রেণী খোলা হয়, কিন্তু ইহা আট বৎসর মাত্র স্থায়ী হইয়াছিল। ১৮৪২ খ্ৰীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে শিক্ষা-পরিষদের চেষ্টায় এই শ্রেণী পুন:স্থাপিত হয় বটে ; কিন্তু পূর্বের স্যায় এবারও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় নাই। বিদ্যাসাগর এই ইংরেজী-বিভাগের শিক্ষা-প্রণালীর ভিতরে গলদ বেশ বুঝিতে পারিলেন। বুঝিতে পারিয়া তিনি ইহাকে ফলপ্রস্থ করিতে সচেষ্ট হইলেন । ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে ইংরেজী-বিভাগে একটি অধিকতর বিস্তৃত ও মুনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা-প্রণালী অবলম্বিত হইল। পাচ জন শিক্ষকের মধ্যে মাসিক এক শত টাকা বেতনে প্রসন্নকুমার সর্বাধিকাৰী হইলেন ইংরেজীর অধ্যাপক ও শ্রনাথ দাস হইলেন গণিতের অধ্যাপক। পূৰ্ব্বে সংস্কৃতে অঙ্কশাস্ত্রের অধ্যাপনা চলিত—ভাস্করাচার্য্যের ‘লীলাবতী’ ও বীজগণিত’ ছাত্রদিগকে পড়িতে হইত। বিদ্যাসাগর ইহ উঠাইয় দিয়া অতঃপর ইংরেজীতেই গণিতের শিক্ষা প্রবর্তন করিলেন। এখন হইতে ইংরেজী অবগুশিক্ষণীয় বিষয়-সমূহের অন্তর্গত করা হইল। বিদ্যাসাগর যখন এই সব সংস্কারে ব্রতী, সেই সময় শিক্ষা-পরিষদ কাশীর সরকারী সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ—বিখ্যাত পণ্ডিত ডা: জে. আর. ব্যালান্টাইনকে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজ পরিদর্শন করিতে আহবান করিলেন। শিক্ষা-পরিষদের নিমন্ত্রণে ডাঃ ব্যালেণ্টাইন কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ পরিদর্শন করিতে আসিলেন ; জুলাই-আগস্ট ১৮৫৩)। পরিদর্শনাস্তে একটি রিপোর্ট পরিষদে পেশ করলেন :– ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের খ্যাতির কথা শুনিয়া এবং কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ-সম্পর্কে তৎপ্রদত্ত রিপোর্ট পাঠ করিয়ার্তাহার সম্বন্ধে যে