পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জী হাবড় হইতে কলিকাতায় বদলি হওয়ার পর জাজপুর গমন পৰ্যন্ত বঙ্কিমের বাস কলিকাতার বউবাজার টুটে ছিল ; লেখানে প্রায় প্রত্যহুই সাহিত্যিক বৈঠক বলিত ; আনন্দমঠের পাণ্ডুলিপি পড়া হইত। চন্দ্রনাথ বন্ধ, হেমচন্দ্র, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, তারাকুমার কবিরত্ব, বলাইচাদ দত্ত, যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ ও সঞ্জীবচন্দ্র নিয়মিত সেই আড়ায় জুটতেন। বেঙ্গল গবর্মেন্টের অ্যাসিস্টাণ্ট সেক্রেটরীর পদটি হঠাৎ লুপ্ত হওয়াতে সেই সময় বঙ্কিমচন্দ্রকে লইয়া বেঙ্গলী, স্টেটস্ম্যান প্রভৃতি দৈনিক পত্রে খুব লেখালেখি হয়। বান্ধব-সম্পাদক কালীপ্রসন্ন ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মধ্যে * बश इरौवनाथ dरे गयह दक्षिद निक वाष्ठाष्ट्राउ कशिrउन । বঙ্কিমচন্ত্ৰ ধৰ্ম্মতত্ত্ব এবং হিন্দুধর্থের বৈশিষ্ট্য লইয়া গভীরভাবে জালোচনা আরম্ভ করিয়াছিলেন-পজিটিভিজম সম্বন্ধে যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষের সহিত প্তাহার আলোচনা হইত। পিতার বাৎসরিক শ্ৰাদ্ধ ব্যাপারে এই সমন্থে বঙ্কিমের সহিত র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বিবাদ হয়। সঞ্জীবের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন তখন অনিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হইতেছে। ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৩এ জানুয়ারি তারিখে বঙ্কিমচন্দ্র মি: ব্লাইদকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটরীর চার্জ বুঝাইয়া দেন। সেই দিন সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ আসিয়া তাহাদের জোড়াসাকোর বাটতে বঙ্কিমকে লইয়া ধান। সেই দিন ১১ই মাঘ ছিল। ৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বঙ্কিম কলেজ-রিইউনিয়নের সভায় যোগদান করেন। এই ফাল্গুন ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) তারিখে কলিকাতায় সাংঘাতিক ঝড়বৃষ্টি হয়—সেই প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয়ের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র ‘কমলাকাস্তের জোবানবন্দী’ রচনা করেন। ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দের ৮ আগষ্ট হইতে ১৮৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বঙ্কিমচন্দ্র জাজপুরে ছিলেন। ১৮৮২ খ্ৰীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে