পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ు ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মত পাঠ করিয়াড়ে-দরিতে চেষ্টা করিয়াছে—তাহার সম্বন্ধে এইরূপ ভয় করিবার কোন কারণ নাই । যে যথার্থরূপে ধারণা করিয়াছে, তাহার কাছে সত্য-সত্যই। “সত্য দুই রকমের" এই ভাব অসম্পূর্ণ ধারণার ফল । সংস্কৃত কলেজে আমরা যে শিক্ষাপ্রণালী অবলম্বন করিয়াছি, তাহাতে এইরূপ ফলের সম্ভাবনা নিশ্চয়ই দূর হইবে। যেখানে দুইটি সত্যের মধ্যে প্রকৃতই মিল আছে, সেখানে সেই ঐক্য যদি কোন বুদ্ধিমান ছাত্র বুঝিতে না পারে, তাহা হইলে সেরূপ ঘটনা সত্যই অদ্ভুত বলিতে হইবে। ধরা যাক, ইঙ্গী ও সংস্কৃত—উভয় ভাষাতেই ছাত্রেরা লজিক, অথবা দর্শন বিজ্ঞানেঃ যে-কোন বিভাগ অধ্যয়ন করিল। এখন যদি তাহারা বলে, “লজিকের পাশ্চাত্তা থিয়োরিও সত্য, হিন্দু থিয়োরিও সত্য, অথচ যদি তাহারা উভয়ের মধ্যে ঐক্যের সন্ধান না পায়, এবং না পাইয় এক ভাষার সত্য অন্য ভাধায় প্রকাশ করিতে না পারে, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে, হয় তাহার বিষয়টা ভাল করিয়া বুঝিতে পারে নাই, না-হয় যে-ভাষায় তাহারা নিজেদের ভাব প্রকাশ করিতে অক্ষা, সেই ভাষায় তাহদের জ্ঞান অল্প। এ কথা অবশ্ব স্বীকার করিতে হইবে, হিন্দু দর্শনে এমন অনেক অংশ আছে, যাহা ইংরেজীতে সহজবোধ্যভাবে প্রকাশ করা যায় না; তাহার কারণ, সে-সব অংশের মধ্যে পদার্থ কিছু নাই। ডা: ব্যালান্টাইন আরও বলেন,—“বর্তমান সংস্কৃত কলেজের গঠন-পদ্ধতি এবং ছাত্রদের সংস্কৃত ও ইংরেজী উক্ত ভাষায় শিক্ষার রীতি হইতেই বুঝা যায়, এমন এক দল লোক গড়িয়া তোলা দরকার, যাহারা পাশ্চাত্তা ও ভারতীয় উভয় শাস্থে অভিজ্ঞ হইয়া উঠিবে, এবং উভয় দেশের পণ্ডিতদের মধ্যে দ্বিভাষী ব্যাখ্যাতার কার্য্য করিয়া উভয়ের মধ্যে যেখানে দৃপ্ততঃ অনৈক্য, সেইথানে মৃত্যকার মিল দেখাইয়া দিয়া অনাবশ্বক কুসংস্কার দূর করিবে;–হিন্দুর দার্শনিক