পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠন 83 শিক্ষা-পরিষদ সদয়ভাবে বিবেচনা করিয়া তাহদের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিথের প্রস্তাব কতকটা পরিবর্তিত করিয়া লইবেন,--যাহাতে সংস্কৃত কলেজ সম্বন্ধে তাহাদের নির্দেশিত শিক্ষা-ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক মা হইয় পড়ে। যদি দরকার হয়, কলেজের অবকাশের পর আমি এ বিষয়ে সরকারী—সুতরাং অধিকতর কেতাদুরস্ত-পত্র লিখিব।” (অনূদিত) এই পত্ৰখানিতে সুফল ফলিয়াছিল। বিদ্যাসাগর নিজের ব্যবস্থিত শিক্ষ-প্রণালী অনুসরণ করিবার স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিলেন। তাহার শিক্ষা-প্রণালী ষে সুফলপ্রস্থ হইয়াছিল, তাহা না বলিলেও চলে। এই সাফল্যের একটি প্রধান কারণ-নিজের তাবে ঠিক ধরণের লোক বাছিয়া লইবার অদ্ভূত ক্ষমত র্তাহার ছিল। সংস্কারের ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্র-সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়া গিয়াছিল। শিক্ষা পরিষদ সন্তুষ্ট হইয়। ১৮৫৪ খ্ৰীষ্টাব্দের জাতুয়ারি মাস হইতে বিদ্যাসাগরের বেতন বাড়াইয়া তিন শত টাকা করিয়া দেন । রাজকৰ্ম্মচারীর বিদ্যাসাগরকে সম্মান করিয়া চলিতেন। শিক্ষাবিষয়ক কার্ঘ্যে তাহারা পণ্ডিতের পরামর্শ গ্রহণ করিতেন । সিবিলিয়ানদিগকে প্রাচ্যভাষা শিক্ষা দিবার জন্য প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ ভাঙিয়ী ১৮৫৪ খ্ৰীষ্টাবের জানুয়ারি মাসে বোর্ড-অব-একজামিনার্স গঠিত হইলে বিদ্যাসাগরকে বোর্ডের এক জন কৰ্ম্মী-সদস্য করিয়া লওয়া হইয়াছিল । শিক্ষা-পরিষদের সদস্য ও বাংলার প্রথম ছোট লাট ফ্রেডরিক হালিডে বিদ্যাসাগরের গুণমুগ্ধ ছিলেন । তাহার আদেশ অনুসারে পরিষদ বারাসতের নিকটবৰ্ত্তী বামুনমুড়া বঙ্গবিদ্যালয় প্রদর্শন করিতে বিদ্যাসাগরকে পাঠাইয়াছিলেন ( জুলাই, ১৮৫৪ ) । শুধু পণ্ডিত নয়, বিদ্যাসাগর সাহিতা-রসিক ছিলেন। বাংলার বহু