পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. 1","<"r

  • -

-- " - ঐযুক্ত মাইকেল দত্ত ঢাকায় গেলে সেখানকার জন কয়েক যুবক তাহাকে একখানি আড্রেস দেন। তখন একজন বস্তৃত কালীন বলেন । যে, “আপনার বিদ্যা বুদ্ধি ক্ষমতা প্রভৃতি দ্বারা আমরা যেমন মহা গৌরবান্বিত হই, তেমনি আপনি ইংরাজ হইয়া গিয়াছেন শুনিয়া আমরা ভারি দুঃখিত হই, কিন্তু আপনার সঙ্গে আলাপ ব্যবহার করিয়া আমাদের সে ভ্রম গেল।” মাইকেল মধুসূদন ইহার উত্তরে বলেন, “আমার সম্বন্ধে আপনাদের আর ষে কোন ভ্রমই হউক, আমি সাহেব হইয়াছি এ ভ্রমটি হওয়া ভারি অন্যায়। আমার সাহেব হইবার পথ বিধাতা রোধ করিয়া রাখিয়াছেন। আমি আমার বসিবার ও শয়ন করিবার ঘরে এক একখানি আশি রাখিয়া দিয়াছি এবং আমার মনে সাহেব হুইবার ইচ্ছা যে মিনি বলবৎ হয় অমনি আর্শিতে মুখ দেখি। আরো, আমি শুদ্ধ বাঙ্গালি নহি, আমি বাঙ্গাল, আমার বাটী যশোহর ।” মধুসূদনের চরিতকারের মধুসূদনের ঢাকা-গমনের তারিখ ১৮৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন ; সালটি যে ভুল, তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে । 'ঢাকা প্রকাশে’র ভূতপূৰ্ব্ব সহকারী সম্পাদক অনাথবন্ধু মৌলিক মধুসূদনের ঢাকা-গমনের একটি বিবরণী লিখিয়াছেন ; তিনি বলেন – ঢাকায় মাইকেল—মাইকেল একটি মোকদম উপলক্ষে ঢাকায় আসিয়া আরমাণিটোলা পোগজ সাহেবের বাড়ীতে থাকেন। র্তাহার অভ্যর্থনার জন্য ঢাকায় দুটি সভা হয়। একটি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলগৃহে এবং অপরটি ঢাকা পোগজ স্কুলে। সে সভায় ঢাকার যাবতীয় বিশিষ্ট লোক উপস্থিত ছিলেন। হরিশ্চন্দ্র মিত্র, গোবিন রায় প্রভৃতি সাহিত্যিকও ছিলেন। অভ্যর্থনা পত্রও দেওয়া হইয়াছিল। ‘ঢাকা