পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኧ মধুসূদন দত্ত প্রকাশ কাৰ্য্যালয়ে উপহার অভ্যর্থনার জন্য একটি party ( সম্মিলন) হইয়াছিল। কৰি গোবিন্ধ স্থায় সে সময়ে ঢাকা প্রকাশের সম্পাদক ছিলেম। আমি তাহার সহকারী ছিলাম । একঙ্কিম মাইকেল প্তাহার বাসায় হরিশ্চঞ্জের সঙ্গে লাহিত্যবিষয়ক গল্প করিতে করিতে সেখানেই একটি কবিতা লেখেন এবং কবি হরিশ্চন্দ্রও তৎক্ষণাৎ তদুত্তরে একটি কবিতা লিখিয়া মাইকেলকে দেন। কৰিত ফুটি আমার মনে পড়িতেছে হিন্দু হিতৈর্ষিণী'তে ছাপা হইয়াছিল। সে সময় ঐ স্কাগজের সম্পাদক কবি হরিশ্চন্দ্র ও তাহার সহকারী ছিলেন রাধারমণ ঘোষ —‘মধু-স্থতি, পৃ. ৫৬৪ । মধুসুদন নিম্নলিখিত কবিতায় ঢাকাবাসীর সম্বৰ্দ্ধনার উত্তর দিয়াছিলেন – নাহি পাই নাম তব বেদে কি পুরাণে, কিন্তু বঙ্গ-অলঙ্কার তুমি যে তা জানি পূৰ্ব্ববঙ্গে। শোভ তুমি এ স্বন্দর স্থানে ফুলবৃন্তে ফুল যথা, রাজাসনে রাণী । প্রতি ঘরে বাধা লক্ষ্মী (থাকে এইখানে ) নিতা-অতিথিনী তব দেবী বীণাপাণি। পীড়ায় দুৰ্ব্বল আমি, তেঁই বুঝি আনি সৌভাগ্য, অৰ্পিল মোরে (বিধির বিধানে ) তব করে, হে সুন্দরি ! বিপজ্জাল ধবে বেড়ে কারো, মহৎ যে সেই তার গতি । কি হেতু মৈনাক গিরি ডুবিল অর্ণবে? . দ্বৈপায়ুম হ্রদতলে কুরুকুলপতি ? যুগে যুগে বস্কন্ধর সাধের মাধবে, ৰুরিও না ঘৃণা মোরে, তুমি, ভাগ্যবতি ।