পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- - -- - 중 , رُب * -؛ ----- *...*- - میتوان به ع - . . . o.o. o. কিন্তু বিধাতার ইচ্ছা অন্তরূপ। বেনিয়াপুকুরের বাটতে মধুস্থানের স্থচিকিৎসা সম্ভবপর নহে বুঝিয়, তাহার বন্ধুগণ বিশেষ চিন্তিত হইয়া উঠলেন। জাহাতে অস্তিম কালে মাইকেল মধুসূদনের চিকিৎসা ও সেবার ত্রুটি না হয়, তজ্জন্য ব্যারিষ্টার উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যারিষ্টার মনোমোহন ঘোষ ও মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক প্রসিদ্ধ ডাক্তার গুডিভ চক্রবর্তী পরামর্শ করিয়া, মধুস্থানকে জেনারেল হাসপাতালে রাখিয়া চিকিৎসা করাইবার বাসনা করিলেন। কিন্তু তাহাতেও এক অন্তরায় ছিল। জেনারেল হাসপাতালে ইংরেজ ও য়ুরোপীয়েরাই চিকিংসিত হইতেন। সে সময়ে যুরেশীয়ান, য়িহুদী, পার্শী এবং বিলাত-প্রত্যাগত দেশীয় খ্ৰীষ্টানদিগকে সেখানে লওয়ার রীতি ছিল না । কিন্তু ডাক্তার স্বৰ্য্যকুমার গুডিভ চক্ৰবৰ্ত্তীর এবং অন্যান্য দুই-একজন উচ্চ ইংরাজ রাজ-কৰ্ম্মচারীর বিশেষ অনুরোধে তাহাকে Alipore General Hospital's Indoor patient of oxifoil rotors অস্তুরায় বিদূরিত হইয়াছিল। তৎকালে স্বপ্রসিদ্ধ ইংরেজ-ভিযক্ ডাক্তার পামার (W. J. Palmer M. D. ) জেনারেল হাসপাতালের প্রধান অধ্যক্ষ ছিলেন । ইনি পূৰ্ব্বে মধুসূদনের পরিবারে চিকিৎসা করিতেন .বলিয়া ইহার সহিত মধুফনের বিশেষ ঘনিষ্ঠত ছিল। স্বতরাং মধুসূদনের পক্ষে সে সময়ে যতদূর পর্যন্ত উংকৃষ্ট চিকিৎসা সম্ভবপর হইতে পারে তাহার ক্রটি হয় নাই* 1.

  • যোগীন্দ্রনাথ বসু মাইকেল মধুসুদন দত্তের জীবন-চরিতে, ৪র্থ সং, পৃ. ৬১৪) লিখিয়াছেন :-"হারা দি, কোনরূপে মধুসূদনের ধাতব্য চিকিৎসালয়ে মৃত্যু নিবারণ করিতে সক্ষম হইতেন, তাহ হইলে বঙ্গসমাজ একটি গুরুতর লজ্জা হইতে রক্ষা পাইত। ৰঙ্গদেশের আধুনিক সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি অনাথ ও ভিন্ধুকদিগের সঙ্গে প্রাণত্যাগ করিয়াছেন, পরে, কবির স্বর্ণময় প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপন করিলেও এ কলঙ্ক মোচন হুইবে না।”