পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"১৮৭৩ খ্ৰীষ্টান্ধের জুন মাসের শেষভাগে মুম্‌ধু মধুসূদনকে তাহাৰ কুটুম্ব ও বন্ধুগণ জেনারেল হাসপাতালে লইয়া গেলেন।” “মধুস্থান যে কয়দিন হাসপাতালে ছিলেন, সে কয়নি, উমেশচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোমোহন ঘোষ প্রমুখ বিশিষ্ট বন্ধুবৰ্গ, এবং অনেক পরিচিত ব্যক্তি র্তাহাকে প্রত্যহই দেখিতে যাইতেন। তিনি র্তাহাদের সহিত নিজের অতীত জীবনের আলোচনা করিতেন, এবং অনেককে সম্পদেশ দিতেন। যখন একটু ভাল থাকিতেন, তখন র্তাহার স্বভাবজাত সরস কথাবাৰ্ত্তায় সকলকে বিমোহিত করিতেন।...হাসপাতালে আসিয়া মধুসূদন প্রথমে দুই-চারি দিন একটু ভাল ছিলেন ;. "এদিকে ত মধুসূদনের এইরূপ শোচনীয় অবস্থা। ওদিকে বেণিয়াপুকুরে তাহার পত্নীর রোগের অবস্থা চরম সীমায় উপনীত হইল। স্বামী-বিবস্থিত। অভাগিনী মৃত্যুশয্যায় মৰ্ম্মান্তিক যন্ত্রণ ভোগ করিয়া, ১৮৭৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৬শে জুন, বৃহস্পতিবার, স্বামীর মৃত্যুর দুই দিন পূর্বেই মৰ্ত্ত্যধাম পরিত্যাগ করিয়া, এই অশাস্ত সংসারে চির-অশান্ত মধুস্থানের নিমিত্ত শাস্তির নীড় রচনা করিবার জন্য, অধীর হইয়া পলায়ন করিলেন। মধুসুদন পত্নীর সহিত পৃথিবীতে শেষ সাক্ষাৎ করিতে পান নাই। র্তাহার সতীলক্ষ্মী পত্নীর শবদেহ সমাধিস্থ করিবার নিমিত্ত জে. লিউইস্ এণ্ড কোম্পানী তাহার শববাহী শকটে লোয়ার সাকুলার রোডের সমাধিক্ষেত্রে লইয়া গেলেম।-- “হেনরিএটার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে মধুসূদনের এক পূৰ্ব্বতন কৰ্ম্মচারী আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রবিষ্ট হইয়া, স্বীয় প্রভুকে তাহার পত্নীবিয়োগ-বাৰ্ত্ত জ্ঞাপন করিল। মুমু আৰ্ত্ত মধুসূদন শুক্ষকণ্ঠে, বন্ধ মহাশয়ের এই উক্তি মোটেই সমীচীন হয় নাই। কলিকাতায় যত দূর হটিসি) সম্ভব, মধুসূদনের বন্ধুরী তাঁহারই ব্যবস্থা করিয়াছিলেন -ঐীব্র,