পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e: মধুসূদন দত্ত you, my boy’ তৎপরে মনোমোহন ও বন্ধুদ্বয় সাশ্রনয়নে বিদায় লইয়া গৃহে গমন করিলেন। "ক্রমেই মধুসূদনের অবস্থা মন্দ হইয়া আসিতে লাগিল। পত্নীবিয়োগের পর হইতেই তাহার পীড়াসমূহের আর লাঘবের লক্ষণ পরিলক্ষিত হইল না। •• "াহার ভব্যন্ত্রণ সমাপ্তির পূর্বদিনে তিনি তাহার খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মপথের প্রথম বন্ধু—দীর্ঘ মাদ্রাজ-প্রবাস সময়ে স্বদেশ প্রত্যাগমনের জন্য প্রথম ংবাদদাতা-প্রত্যাগতের ষঙ্গদেশে প্রথম অভ্যর্থনাকারী, রেভারেও ডাক্তার কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাহার নিকটে আসিবার নিমিত্ত সংবাদ প্রেরণ করিলেন ।...কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহিত তিনি বহুক্ষণ ধরিয়া গভীর ধৰ্ম্মতত্বের আলোচনা করিয়াছিলেন ; দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত যলিয়াছিলেন, তিনি ত্রাণকৰ্ত্তা খ্রষ্টে বিশ্বাস করেন এবং তিনি নিশ্চয়ই স্বর্গে গমন করিতেছেন। মধুসূদন বলিয়াছিলেন, ‘আমি সেই দয়াময়ের করুণার উপর নির্ভর করিয়া মরিতেছি । তিনি যে পাপী তাপীর উদ্ধারের জন্য, খ্ৰীষ্টকে পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন, আমি ইহাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি। রেভারেও কে. এম. ব্যানাজী সময়োচিত প্রার্থনা করিলেন এবং ধর্মযাজকের প্রথানু্যায়ী মধুসূদনকে ভগবানের আশীষ প্রদান করিলেন। * "মধুস্থানের আর বাচিবার আশা নাই, এই পূৰ্ব্ব হইতেই জনসমাজে প্রচারিত ও বিঘোষিত হইয়াছিল। মধুসূদন জানিতে পারিয়াছিলেন যে, তাহার অন্ত্যেষ্টি-ক্রিয়ার বিষয় লইয়৷ খ্ৰীষ্ট-সমাজে মহা আন্দোলন চলিতেছে।...মধুসূদনের সহিত কথাপ্রসঙ্গে, এই সকল কথা উপস্থিত হইলে, কৃষ্ণমোহন মধুসূদনকে বলিলেন, ‘তুমি জীবনে কোন গির্জার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলে না। তোমার অস্ত্যেষ্টির বিষয় লইয়া