পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3巻。 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্যবস্থাকে ভিত্তিস্বরূপ করিয়া সেই খসড়া তৈয়ারী করিতে হইবে। ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৫৪ তারিখে পরিষদ ঐ বিষয়ে সদস্যদিগের মিনিটগুলি . বঙ্গীয় গবর্মেন্টকে পাঠাইলেন । বাংলায় ছোট লাটের পদ স্বল্প হইল ( ১ মে ১৮৫৪ ) ; প্রথম ছোট লাট হইলেন—ফ্রেডরিক জে. হালিড়ে। এই পদে প্রতিষ্ঠিত হইবার দুই মাস পূৰ্ব্বে শিক্ষা-পরিষদের সদস্যরূপে হালিডে বাংলায় শিক্ষাসম্বন্ধে তাহার মত একটি মিনিটে ব্যক্ত করিয়াছিলেন ( ২৪ মার্চ ) { শিক্ষা-পরিষদ-প্রদত্ত কাগজপত্র পর্য্যালোচনা করিয়া হালিডে স্থির করিলেন, তিনি নিজে যে-প্রণালী পূৰ্ব্বে নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছেন, তাহাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট। বড় লাটের গ্ৰহণার্থ ইহাই তিনি অকুমোদন করিয়া পাঠাইলেন ( ১৬ নবেম্বর ) । হালিডের মিনিটের অংশ-বিশেষ উদ্ধৃত করা গেল :– “২। বঙ্গদেশে অসংখ্য দেশীয় ধরণের পাঠশালা আছে। ইউরোপীয় এবং এদেশীয়—উভয় শ্রেণীর ভদ্রলোকের কাছে বিশেষ অতুসন্ধান করিয়া জানিয়াছি, পাঠশালাগুলির অবস্থা অতি শোচনীয় ; কারণ, শিক্ষকের কার্য্য অতি অযোগ্য লোকের হাতেই গিয়া পড়িয়াছে । ৩। এই পাঠশালাগুলিকে যথাসম্ভব উন্নত করিয়া তোলা আমাদের উদ্দেগু হইলে । এ-বিষয়ে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের পূর্বতন ছোট লাটের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করাই শ্রেয়। পাঠশালাগুলির আদর্শস্বরূপ কতকগুলি মডেল স্কুলের ব্যবস্থা করা দরকার। নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করিলে, গুরু মহাশয়ের আদশের প্রেরণায় ক্রমশঃ পাঠশালাগুলিকে উন্নত ধরণে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করিবে। ৫ । এই বিষয় সম্বন্ধে সংস্কৃত কলেজের স্বদক্ষ অধ্যক্ষ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা এক মন্তব্য সংযুক্ত হইল। এ কথা