পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুসূদন ও বাংলা-সাহিত্য }}} তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম রচনা করেন এবং তাহার রচিত প্রহসন দুইটি জাজিও প্রহসনের আদর্শ হইয়া আছে ; ইউরোপীয় পদ্ধতিতে বাংলা ভাষায় নাটক-রচনায় তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম হস্তক্ষেপ করেন এবং সাফল্য লাভ করেন। তাহার অসম্পূর্ণ হেক্টর-বধ বাংলা গদ্যের একটি নূতন বিশিষ্ট রূপ। উচ্চ প্রতিভার একটি বিশেষ লক্ষণ এই যে, যুগপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই তাহানের স্বটি বাতিল vi, out of fashion vêtiî vt ai i ভাষার এবং ভাবের এমন একটি শাশ্বত মহিমা ইহাদের স্বাক্টর স্বধ্যে বজায় থাকে, যাহাতে যুগে যুগে তাহারা স্বীকৃত ও গ্রন্থ হন। এই শাশ্বত মহিমা মধুসূদনের রচনায় এত অধিক মাত্রায় বর্তমান যে, তাহাৰ মহাকাব্যকে, তাহার চতুর্দশপদী কবিতাকে এবং তাহার বীরাঙ্গন কাব্যকে আজিও নবতম কোনও কপি অতিক্রম করিতে পারেন নাই। : কাব্যের দিক্ দিয়া এই বিচার বাংলা দেশে বারংবার হইয়া গিয়াছে,কিন্তু র্তাহার প্রহসন দুইটিতে তিনি কথোপকথনের যে ভাষা ব্যবহার করিয়াছেন, তাহার শক্তি ষে এ যুগের পক্ষেও অনবদ্য আছে,এই সত্যের উল্লেখ আমরা সচরাচর করি না। মধুসূদনকে আমরা কবি হিসাবে দেখিতেই অভ্যস্ত; তাহার অন্যান্য শিল্পম্বষ্ট অনেক সময়েই আমাদের দৃষ্টি এড়াইয়া ধায়। মধুসূদনকে সমগ্রভাবে বিচার করিতে হইলে এগুলি লইয়াও আলোচনা আবগুক। এই আলোচনা স্বর্ভূভাবে হইলে আমরা দেখিব, বাংলা-সাহিত্যকে এক মধুসূদন একাধিক শতাব্দীর উন্নতিমহিমামণ্ডিত করিয়া গিয়াছেন। তিনি ষে ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’র প্রারস্তে দস্ত করিয়া বলিয়াছিলেন— কবির চিত্ত-ফুলবন-মধু লয়ে, বুচ মধুচক্র, গৌড়জন যাহে আননো করিবে পাল মৃধা নিরবধি সে দস্তু দিল্ফল হয় নাই, অন্ততঃ আজ অবধি তাহ সত্য আছে। মধুসূদন-চরিত্রের আর একটি দিকু সম্বন্ধে উল্লেখ না করিলে তাহার