পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা-শিক্ষা প্রচলন & $ ১৭। গুরুমহাশয়-চালিত এখনকার পাঠশালাগুলি কোন কাজেরই নয়। যে-কাজে তাহারা অযোগ্য, এই সকল শিক্ষক সেই কাজ হাতে লণ্ডয়াতে পাঠশালাগুলির অবস্থা শোচনীয়। তত্ত্বাবধায়কদের কাজ হইবে—এই সকল পাঠশালা পরিদর্শন করা এবং শিক্ষাদানের রীতি সম্বন্ধে গুরুমহাশয়দের যথাসাধ্য উপদেশ দেওয়া । পূৰ্ব্বোল্লিখিত পাঠ্যপুস্তকগুলি সুযোগ-মত যথাসাধ্য প্রবর্তন করাও তাহীদের কৰ্ত্তব্যের অন্তর্গত। প্রকৃতপক্ষে পাঠশালাগুলি যাহাতে প্রয়োজনসাধক বিদ্যালয়রূপে গড়িয় উঠে, সে দিকে তাহাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখিতে হইবে । ১৮। দেশীয় লোক অথবা মিশনরী কর্তৃক স্থাপিত যে-সব স্কুল সুদক্ষ শিক্ষকের হাতে আছে, অবশ্ব তাহাদের উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন । তত্ত্বাবধায়কেরা এষ্ট সকল বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া কিরকম উৎসাহ ও সাহায্য তাহারা পাইতে পারে, তাহ নিৰ্দ্ধারণ করিবেন। ১৯। নিজের নিজের এলাকার অন্তর্গত, শহর ও পল্লীগ্রামের অধিবাসীদিগকে গবর্মেন্ট স্কুলের আদর্শে স্কুল প্রতিষ্ঠিত করিতে প্ররোচিত করাও তত্ত্বাবধায়কের এক কৰ্ত্তব্য হইবে।” ৭ই ফেব্রুয়ারি Ꮌbr© 8 ; হ্যালিডে ব্যয়বাহুল্য বর্জন করিবার ইচ্ছায় ইউরোপীয় তত্ত্বাবধানের সমর্থন করেন নাই। তিনি মিনিটে লিখিয়াছি ে-- “জানি, মাথার উপর কোন ইউ ে পীয় না থাকিলে দেশীয় তত্ত্বাবধায়কদের বেশী বিশ্বাস করিতে পারা যায় না। কিন্তু পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ শৰ্ম্মা একজন অসাধারণ লোক, তিনি এ-বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ ও শক্তি প্রকাশ করিয়াছেন। এই পরীক্ষার ভার তাহাকে গ্রহণ করিতে দেখিলে আমি আনন্দিত হইব। পরীক্ষার ফল কি হয়,