পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ર ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাহা দেখিতে তিনি অত্যন্ত উৎসুক এবং আমি সত্যই মনে করি, ইহাতে তিনি সফল হইবেন।” --- কিন্তু শিক্ষা-পরিষদের সদস্যদের অনেকেই – রামগোপাল ঘোষ, সাৰ্ব্ব জেম্স কোল্পভিল প্রভৃতি—এ প্রস্তাবের অত্যন্ত বিরোধী ছিলেন। ঈশ্বরচন্ত্রের যোগ্যতা সম্বন্ধে তাহাদের এতটুকু সন্দেহ ছিল না। কিন্তু সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ-পদের গুরু ভারের" স্মরণ করিয়া বিষ্ঠাসাগরকে প্রধান তত্ত্বাবধায়ক করিবার প্রস্তাবে তাস্থার সম্মতি দেন নাই। সংস্কৃত কলেজ হইতে তাহাকে ছাড়িতে না-চাহিলেও তাহার স্থির করেন যে, “এই মহৎ আন্দোলনের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্রের কোন-নাকোনরূপ যোগ থাকা উচিত। পুস্তক, শিক্ষক এবং স্থানের নির্বাচন শিক্ষ-প্রণালী ও অপরাপর নানা বিষয় সম্বন্ধে তাহার পরামর্শ খুবই মূল্যবান হইবে।” কিন্তু হালিডে যাহা ভাল বলিয়৷ বিবেচনা করিতেন, কোন বাধাই তাহাকে সে-কাজে বিচলিত করিতে পারিত না। ইহার প্রমাণ পরে পাওয়া যাইবে। বিরাধগুণের শক্তি সম্বন্ধে হালিডের একটা শ্রদ্ধা ছিল। এই শ্রদ্ধা হইতে বন্ধুত্বের উৎপত্তি হয়। অনেক সময় তাহারা উভয়ে মিলিত হইয় শিক্ষা-সম্পৰ্কীয় নামা বিষয়ে স্বাধীনভাবে আলোচনা করিতেন । বাংলার ছোট লাটের আসনে বসিবার পরই, হালিডে বিদ্যাসাগরের উপর প্রস্তাবিত মডেল বঙ্গবিদ্যালয়গুলির স্থান-নিৰ্বাচনের ভার দিলেন। এই কাজের জন্য তাহাকে গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে ঘুগি বেড়াইতে হইয়াছিল। ৩ জুলাই ১৮৫৪ তারিখে ছোট লাটকে নি যে রিপোর্ট দেন, তাহাতে দেখা যায়, তিনি ২১এ মে হইতে ১১ই জুন পৰ্য্যস্ত, সংস্কৃত কলেজের ছুটির সময়, হুগলী জেলার শিয়াখাল, রাধানগর, কৃষ্ণনগর, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোণ, শ্ৰীপুর, কামারপুকুর, রামজীবনপুর, মায়াপুর, মলয়পুর, কেশবপুর, পাতিহাল পরিভ্রমণ করিয়া দেখিয়াছিলেন। এই