পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - وWe&سم-?y'e8" I. কাব্য-সাহিত্যে বিহারিলাল চক্রবর্তী একটি নূতন ধারার त প্রবর্তন করিয়া স্মরণীয় হইয়া রহিয়াছেন। মহাকাব্যের বিচিত্র পাঞ্চজন্ত-রবে যখন বাংলার সাহিত্য-জগৎ মুখরিত, সেই সময়ে বিহারিলাল নিভৃতে নির্জনে তার একতারায় মানব-হৃদয়ের অন্তর্লোকের কথা অতি সহজ মুরে নিবেদন করিলেন। বাংলার যে প্রাণধর্মের একটা বিশিষ্ট দিক্‌ গীতিকবিতাকে আশ্রয় করিয়া সুদূর অতীত কাল হইতে আত্মপ্রকাশ করিয়া আসিতেছিল, আধুনিক কালে তাহা প্রথম বিহারিলালের সারদামঙ্গল প্রভৃতি কাব্যেই নব নব রূপে ছলে ও ঘুরে অভিব্যক্ত হইল। বিহারিলাল যে সুললিত সঙ্গীত শুনাইলেন তাহা এক দিকে যেমন সম্পূর্ণরূপে তাছার স্বকীয়, অন্ত দিকে তেমনি তাহাতে বাংলার চিরন্তন প্রাণধর্মের নিজস্ব খাটি মুরটুকুও সম্বরণিত হইয়া উঠিল। ভোরের অফুট আলোয় ললিত রাগিণীতে যখন তিনি তান রিলেন, তখন বেণীলোক তাছাতে কৰ্ণপাত করে নাই, তখন “ঘুমঘোরে প্রাণী ভাবি স্বপ্নবাণী ঘুমাইল পার্শ্ব ফিরে”; কিন্তু সে গান যে-কয় জন ভাগ্যবানের কানের ভিতর দিয়া একেবারে মরমে পশিয় তাহাদিগকে আকুল করিয়া ফুলিয়াছিল, তন্মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ছাড় অক্ষয়কুমার বড়াল ও দেবেন্ত্রনাথ সেন এই দুই জনের কবিকৃতি ভবিষ্মরণীয়। বিহারিলালের কাব্য হইতে প্রেরণা লাভ করিা