পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংলা-শিক্ষা প্রচলন 效盘 “অস্থায়িভাবে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রকে নিযুক্ত করিয়া কোনই লাভ নাই। ঈশ্বরচন্দ্র দৃঢ়চিত্ত লোক। বাংলা-শিক্ষা সম্বন্ধে তাহার কতকগুলি জোরালো মতামত আছে। যদি তাহার মতলব অস্থযায়ী কাজ করিতে দেওয়া হয়, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই উৎসাহ ও বিচার-বুদ্ধি সহকারে মঞ্জুরী শিক্ষা-ব্যবস্থাকে সফল করিয়া তুলিবার কার্য্যে লাগিয়া যাইবেন । তিন মাসে হউক আর তিন সপ্তাহে হউক মি: প্র্যাট যেমনই আসিবেন, অমনিই সরিয়া যাইতে হইবে, এইরূপ অস্থায়িভাবে যদি তাহকে কাৰ্য্যে নিযুক্ত করা হয়, তবে তিনি যে-কিছু করিয়া উঠিতে পরিবেন, এমন আমার বোধ হয় না। আমার নিৰ্দ্ধারিত যে বাংলা শিক্ষার ব্যবস্থা ভারত গবৰ্মেট কর্তৃক অনুমোদিত হইয়াছে, তাহাতে তিন-চারিটি জেলার ঈ-aথ আছে। সেই জেলাগুলিতে শিক্ষা-ব্যবস্থা কাজে পরিণত করিবার জন্য নির্দিষ্ট বেতনে প্রতিনিধি-সাব-ইনস্পেক্টররূপে ঈশ্বরচন্দ্রকে যদি নিযুক্ত করা যায়, তাহাতে আমি কোন আপত্তির কারণ দেখি না । ইহাতে মিঃ গ্র্যাটের কাজে বাধা পড়িবে বলিয়৷ বোধ হয় না। ঈশ্বরচন্দ্রের কায্যের পরিদর্শন ছাড়াও, যে সব জেলা তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্র, সেই সব স্থানে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজী ও ইঙ্গ-বঙ্গ স্কুল ও কলেজসমূহের ইনস্পেক্টর হিসাবে তাহার করিবার কাজ যথেষ্টই থাকিবে । বাংলা-শিক্ষার ব্যবস্থা অতি গুরুতর বিষয়। বহু কষ্ট স্বীকার এবং যথেষ্ট অনুসন্ধান করিয়া যাহা এক করিয়াছি, সেই ব্যবস্থাই সৰ্ব্বাপেক্ষ ফলদায়ক বলিয়া আমি বিশ্বাস করি । এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের এক জন প্রধান উদ্যোগীকে যদি এমন কাজে নিযুক্ত করা হয়, যাহাতে নানাভাবে প্রতিহত হইবার আশঙ্কা আছে, এবং , র্তাহাকে ভুল পদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যদি সেই ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করিবার