পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*登br ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর বাংলা লেখক অগ্নি"ই আছেন; অক্ষয়কুমার সেই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট লেখকদের অন্যতম। ইংরেজীতে তাহার বেশ জ্ঞান আছে, এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রাথমিক তথ্যসমূহ সম্বন্ধে তিনি যথেষ্ট অভিঞ্জ ; শিক্ষকতা-কার্য্যেও তিনি পটু।" কথা, তাহার অপেক্ষা যোগ্যতর লোক পাইবার সম্ভাবনা নাই।...দ্বিত্র শিক্ষক হিসাবে আমি পণ্ডিত মধুসূদন বাচস্পতির নাম উল্লেখ করি।” বাংলা-স্কুলের জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব সৰ্ব্বত্রই অন্তর্ভূত হুইতেছিল। বঙ্গীয় গবর্মেন্ট এবং ডিরেক্টর, উভয়েই পণ্ডিতের প্রস্তাব অমুমোদন করিলেন। ছয় মাস অন্তর ৬০ জন করিয়া গুণী শিক্ষক স্কুল হইতে বাহির হইবে ; তুলনায় মাসিক পাঁচ শত টাকা বায় কিছুই নয়। ১৭ জুলাই ১৮৫৫ তারিখে বিদ্যাসাগরের তত্ত্বাবধানে একটি নর্মাল স্কুল স্থাপিত হইল । স্বতন্ত্র বাড়ী না পাওয়ায় নর্মাল স্কুল সকালবেল ছুই ঘণ্টার জন্য সংস্কৃত কলেজেই বসিত। স্কুলটি দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল ; উচ্চ শ্রেণীর ভার—প্রধান শিক্ষক স্থবিখ্যাত অক্ষয়কুমার দত্তের উপর, এবং নিম্ন শ্রেণীর ভার—দ্বিতীয় শিক্ষক মধুসুদন বাচস্পতির উপর ছিল। ৭১টি ছাত্র লইয়া প্রথম স্কুল খোলা হয় ; তন্মধ্যে ৬০ জনকে মাসিক পাচ টাকা বৃত্তি দেওয়া হইত। ১৭ বছরের কম, অথবা ৪৫ বছরের বেশী বয়সী। ছাত্রদের ভৰ্ত্তি করা হইত না। প্রথম প্রথম কেবল উচ্চবর্ণের লোককেই লওয়া হইত। বোধোদয়, নীতিবোধ,’ ‘শকু , কাদম্বরী,’ ‘চারুপাঠ’ ও ‘বাহাবস্তৃ’ পড়ান হইত। ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও প্রাণিবিজ্ঞান সম্বন্ধেও পাঠ দেওয়া হইত। মাসে মাসে পরীক্ষা লইবার ব্যবস্থা ছিল। অমনোযোগী ছাত্রের বিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত, এবং পাঠে অগ্রসর ছাত্রেরা শিক্ষকরূপে নিৰ্ব্বাচিত হইত। ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দের জাতুয়ারি মাসের মধ্যেই বিদ্যাসাগর তাহার