পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার &d স্ত্রীশিক্ষা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। ভারতবর্ষে স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার এক সমস্ত। সেই সমস্ত-সমাধানের উপায় বহুল পরিমাণে বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপন। ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাব্বের গোড়ার দিকে বাংলা দেশে হালিডে সাহেব সেই কাজে হাত দিলেন। তিনি বিদ্যাসাগরকে ডাকাইয়া, তাহার সহিত এ সম্বন্ধে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করিলেন। কাজ যে কত কঠিন, সে কথা তাহদের অজ্ঞাত ছিল না। সাধারণ বালিক। বিদ্যাল.া নিজেদের মেয়ে পাঠাইতে সম্ভ্রান্ত হিন্দুদের মনে কতটা যে অনিচ্ছ আছে, তাহা তাহারা ভালরূপেই বুঝিতেন। যাহা হউক, বিদ্যাসাগরের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, উৎসাহ ও উদ্যমের সহিত কাজে লাগিলে এরূপ সংকার্য্যে জনগণের সহানুভূতি আকর্ষণ করা খুব কঠিন হইবে না। বিদ্যাসাগর অল্প দিনের মধ্যেই জানাইলেন, বৰ্দ্ধমান জেলার জোগ্রামে তিনি একটি বালিক-বিদ্যালয় খুলিতে পারিয়াছেন (৩১ মে ১৮৫৭ )। ডিরেক্টর প্রতিষ্ঠানটির জন্য সরকারের কাছে ৩২ টাকা মাসিক সাহায্যের অনুমোদন করিয়া পত্র লিখিলেন। দক্ষিণ-বঙ্গের স্কুলসমূহের ইনস্পেক্টর প্র্যাট সাহেবের নিকট হইতে সাহায্যের জন্য তিনখানি আবেদন-পত্ৰ আসিয়াছিল। ডিরেক্টর সেগুলি পূর্বেই সরকারের দপ্তরে পেশ করিয়াছিলেন। হুগলী জেলার হরিপাল থানার অন্তর্গত দোয়ারহাট ও বৈদ্যবাট থানার অন্তর্গত গোপালনগর, এবং বৰ্দ্ধমানের মরোগ্রামে তিনটি বালিকা-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সেই তিনখানি আবেদন-পত্রে ছিল । ছোট লাট সকল দরখাস্তই মঞ্জুর করিলেন ; প্রত্যেক স্থলেই পল্লীবাসীরা বিদ্যা -বাট নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিবার ভার লইল। সাহায্য মঞ্জুর করিবার সময় ছোট লাট জানিতে চাহিলন বিভাগীয় ইস্পেক্টরদের নিকট হইতে ডিরেক্টর আর কোন t

& t