পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকুরী-জীবন তখনকার দিনেও চাকুরী সংগ্রহ করা কম দুরূহ ছিল না; অনেকে চাকুরীর লোতে জৰালে কলেজ ত্যাগ করিতে বাধ্য হইত। ডাহাদের কেহ শিক্ষকের, কেহ বা বেসরকারী আপিলে কেরাণীর পরে নিযুক্ত হুইত, তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সরকারী চাকুরী-মুঙ্গেফ, দাৰোগ , বাকেরাণীর পদ লাভ করিত। রাজপুরুষদের মধ্যে অনেকে শিক্ষিত । যুবকদিগকে চাকুরী দিয়া উৎসাহিত করিবার পক্ষপাতী ছিলেন; আবকারী-বিভাগের কমিখমর ডোনেলী সাহেব তাহাজের অন্ততম ছিলেন । ১৮৪৪ খ্ৰীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে হরচন্দ্র বোয়ালিয়ায় ২য় শ্রেণীর আবকারী সুপারিন্টেগুেণ্টের পদ লাস করেন। তিনি পয়-বংসর ডিসেম্বর মাসে ১ম শ্রেণীর সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট-রূপে মালদহে স্থানান্তরিত হন । মালদহে অবস্থানকালে তিনি যে বিশেষ যোগ্যতার সহিত কাৰ্য্য করিতেছিলেন, তাহ ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৪৮ তারিখের ‘সংবাদ প্রভাকরে’ প্রকাশিত নিম্নোদ্ধৃত পত্ৰখানি হইতে জানা যাইবে :– “সম্পাদক মহাশয়, মালদহের বর্তমান আবকারি স্বপ্রেন্টেণ্ডেণ্ট বাৰু হরচন্দ্র ঘোষ মহাশয় এইক্ষণে অতি প্রশংসিতরূপে স্বীয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেছেন, তিনি ১৮৪৪ সালের নবেম্বর মাসে বোয়ালিয়ার দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বপ্রেন্টেগুেন্টের পদে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন, পরে ৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মালদহে আসিয়া প্রথম শ্রেণীভূক্ত হয়েন, এই স্থানে ইহার আগমনাবধি ক্রমশই জাবকারির উৎপন্ন বৃদ্ধি হইতেছে, পূৰ্ব্বে বাইশ হাজার টাকার অধিক হইত ম, হরচন্দ্র বাবু জাসিয়া ১৮৪৬৪৭ সালে অমৃন পঞ্চায় হাজার