পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፩ » * = হরচন্দ্র ঘোষ টাকা উৎপন্ন হইয়াছে, সুতরাং এতদ্রুপ অল্প সময়ের মধ্যে সরকারের এবস্তৃত অধিক লাভ করাতে কাৰ্য্য কল্পে তাহার বিশেষ নৈপুণ্য ও পারদর্শিত প্রকাশ পাইয়াছে, ঢাকা প্রদেশের পূর্বতন আবকারি কমিস্তনর মহামুভব মৃত ডোনেলি সাহেব এ বিষয়ে হরচন্দ্র বাবুর বিস্তর স্বখ্যাতি লিথিয়াছেন, ফলতঃ তিনি যথার্থ রূপ প্রশংসা প্রাপণের যোগ্য পাত্র তাহাতে সন্দেহাভাব ... এমত সুযোগ্য ব্যক্তির পদোন্নতি বিষয়ে রাজপুরুষেরা কিছুমাত্র বিবেচনা করেন না, যাহারা তাহার অপেক্ষা সৰ্ব্বতোভাবে অযোগ্য তাহারা অনায়াসেই অধিক বেতন প্রাপ্ত হয়েন, অথচ এ পর্য্যস্ত ইহার বেতন ২০০ টাকার অধিক হইল না,... । ১ ভাদ্র ১২৫৫ ” হরচন্দ্র মালদহে “প্রায় আট বৎসর কার্য্য করেন। এই স্থানে সন্তোষজনকভাবে কাৰ্য্য করিবার পুরস্কার স্বরূপ তিনি রেভিনিউ সার্ডের ডেপুটি কলেক্টরের পদে উন্নীত হন এবং বহরমপুরে স্থানান্তরিত হন। এই স্থানে কিছু কাল কাৰ্য্য করিবার পর তিনি ক্রমান্বয়ে রংপুর ও দিনাজপুরে বদলী হন। স্বাস্থ্য ভঙ্গ হওয়ায় তিনি থাকবন্ত বিভাগ .পরিত্যাগ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাৰে বৰ্দ্ধমান জিলায় ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত হন। এই পদে যখন তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন তখন অসাধারণ বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতির প্রভাবে তিনি এক ভীষণ দম্ব্যদলকে ধুত করিয়া কর্তৃপক্ষগণের উচ্চ প্রশংসা লাভ করেন। দোকানীরা যে বাটখারা রাধিত তাহার ওজন ঠিক নহে বলিয়া তিনি চেষ্টা করিয়া সেই অসাধু প্রথা রহিত করিয়া দেন। অতঃপর অন্যান্য জিলায় শাসনকাৰ্য্য করিয়া তিনি উড়িষ্কার অন্তর্গত কেন্দ্রপাড়া মহকুমা হইতে পেন্সন লন এবং ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে স্বগৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন ৷” (‘ভারতবর্ষ, ফাল্গুন ১৩৪১, পৃ. ৩৮১-৮২ )।