পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তৈয়ারী করাইয়া দিলে সরকার খরচ-পত্র চালাইবেন। ভারতসরকার কিন্তু ঐ সৰ্ত্তে সাহায্য করিতে নারাজ, কাজেই স্কুলগুলি তুলিয়া দিতে হইবে। কিন্তু শিক্ষকবর্গ গে’ হতে মাহিনী পান নাই, তাহাদের প্রাপ্য মিটাইয়া দেওয়া দরকার। আশা করি, সরকার এই ব্যয় মঞ্জুর করিবেন। সরকারী আদেশ পাইবার পূর্বেই, আমি অবশ্ব স্কুলগুলি চালাইবার ব্যবস্থা করিয়াছি {ম। কিন্তু প্রথমে আপনি, অথবা বাংলা-সরকার এ বিষয়ে কোনরূপ অমত প্রকাশ করেন নাই ; করিলে, এতগুলি বিদ্যালয় খুলিয়া এখন আমাকে এমন বিপদে পড়িতে হইত না। স্কুলের কৰ্ম্মচারিবর্গ মহিলার স্থা স্বভাবতই আমার মুখের দিকে চাহিয়া থাকিবে। যদি আমাকে নিজ হইতে এত টাকা দিতে হয়, তাহা হইলে সত্যই আমার উপর অবিচার করা হইবে,— বিশেষত: খরচ যখন সৰ্ব্বসাধারণের মঙ্গলের জন্য করা হইয়াছে।” ডিরেক্টর বাংলা-সরকারের কাছে বিদ্যাসাগরের কথা জানাইয়া বলিলেন,— “পণ্ডিতের পত্রের সহিত সংযুক্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণীর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি ; কেননা, স্ত্রী-শিক্ষা-সম্পর্কে এই কৰ্ম্মচারীর স্বেচ্ছাকৃত এবং অনাড়ম্বর পরিশ্রমের কথা সরকারের না জানাই সম্ভব। দূরবর্তী স্থানের অন্যবিধ কৰ্ত্তব্যের গুরুভার র্যাহার উপর ন্যস্ত, কতৃত্বের বিশেষ উচ্চপদেও যিনি অবস্থিত নন এমন এক ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের বিশেষ সাহায্য ও সহায়ুভূতি ব্যতী গ্রামসমূহে যদি এতটা করিয়া থাকিতে পারেন, সরকারের অঙ্গুমোদন ও সাহায্য পাইলে সেই দিকে কতটাই না তিনি করিতে পারিতেন ? আর যদি আন্তরিক প্রচেষ্টাসত্ত্বেও ইহাতে সেই কৰ্ম্মচারীর অপমান ও