পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্য ও ছাত্রজীবন οι বেতন পাইতেন এবং কলিকাতা সিমুলিয়া শিবচন্ত্র দাসের গলির ভিতর একখানি ক্ষুদ্র বার্ট ক্রয় করিরা তথায় বাস করিয়াছিলেন ... তর্কবাগীশ মহাশয় কালেঞ্জের অধ্যাপনাক' শেষ হইলে, বেলা ৪টার সময়ে বার্ট আধিয়া, বঙ্গাদি ত্যাগপূর্বক কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া, আমার পিতার চতুষ্পাঠব দাবায় বসিয়া, রাস্তার লোক দেখিতেন এবং মালা গল্প করিতেন । এমত সময়ে অfম ৮ বৎসর বয়সে পড়িয়াই কলিকাতায় আসিলাম । আমার আহারের জন্ত পিত{ অতিশয় বিব্রত হইলেন । আমাকে মা খাওয়াইয়া কোথাও যাইতে পারিতেন না । তর্কবাগীশ মহাশয় আমাকে দেখিয়া অতি সন্তুষ্ট হইলেন, এবং সংস্কৃত কালেঞ্জে আমার পাঠ করিবার প্রস্তাব করিলেন । পিতৃষ্ঠাকুয় বলিলেন “আমি কি করিয়া ১০টার মধ্যে খাওয়াইয়া দিব” । তাহাতে তর্কবাগীশ মহাশয় বললেন, “গিরিশ ১০টার মধ্যে আমার বাড়তে খাইয়া কলেজে যাইবে” । পিতৃঠাকুর ঐ প্রস্তাবে অত্যস্ত সন্তুষ্ট ও উপকৃত হইলেন । তদবধি আমি ২ বৎসর কল্প তাহার বটতে সকালে খাইয়া পড়িতে যাইতাম , তার পর মুম্ববোধ ব্যাকরণ প্রায় শেষ হইলে কলেজের নিয়মানুসারে পরীক্ষা দিয়া মাসিক 2\ পার্ট টাকা বেতন পাইতে লাগিলাম।” এইরূপ সংস্কৃত কলেজে প্রায় ১৩ বৎসর কাল অধ্যয়ন করিয়া, ব্যাকরণ, কাব্য, অলঙ্কার, স্কয়, স্মৃতি সব শীঘ্রই কিছু কিছু শিখিলাম। বৎসর বৎসর পর ক্ষেত্তীর্ণ হইয়। ক্রমে ৮ টাকা করিয়া বেতন পাইতে লাগিলাম , তাহতে পিতাঠাকুরেরও যৎকিঞ্চিৎ খরচের সাহায্য হইতে লাগিল । পাঠের শেষাবস্থায় স্থায়-স্মৃতি-অধ্যয়মকালে ২৩ বৎসর ১৫ টাকা করিয়া স্বলাদিপ পাইতাম । শেষে যখন ২০\ টাকা স্কলাধিপ হইল, তখন কালেন্ধের নিয়মাহুসারে জামাকে