পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকুরী-জীবন ●ፃ ১ জানুয়ারি ১৮৪৫ তারিখে গিরিশচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ হইতে যথারীতি প্রশংসাপত্র লাভ করিয়াছিলেন, তাছা তাহার জীবনচরিতে মুদ্রিত হইয়াছে। চাকুরী-জীবন সংস্কৃত কলেজের শেষ পরীক্ষা দিয়া গিরিশচন্ত্রকে বাড়ী চুটিতে হইয়াছিল ; সেখানে তাহার পিতা তখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত। দুই এক মাস দেশে বাস করিয়া পিতৃহীন নি:সম্বল গিরিশচন্দ্র কলিকাতায় আসিয়া দয়ার সাগর বিদ্যাসাগরের শরণাপন্ন হইলেন । বিদ্যাসাগর তখন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা-বিভাগের সেরেস্তাদার ; তিনি গিরিশচন্দ্রকে আশ্বস্ত করিয়া বলিলেন, গিরিশ, ভাবিস মা ; যত দিন তোর কোন চাকরি না হয়, আমার বাসায় থাক । গিরিশচন্দ্রকে বেশী দিন বসিয়া থাকিতে হয় নাই । তিনি ১৪ জানুয়ারি ১৮৪৫ তারিথে মাসিক ৩০২ বেতনে সংস্কৃত কলেজের এাধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হন। এই পদে কিছুকাল কাৰ্য্য করিবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের (তৎকালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ) চেষ্টায় গিরিশচন্দ্র ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দের জুন মাস হইতে ব্যাকরণ-শ্রেণীর পঞ্চম অধ্যাপক নিযুক্ত হন। গিরিশচক্রের চাকুরী-জীবন সংস্কৃত কলেজেই নিবন্ধ ছিল । তিনি সংস্কৃত কলেজে বিভিন্ন পদে ৩৭ বৎসর ১১ মাস ১৮ দিন কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। তাছার চাকুরী-জীবনের সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে দিতেছি ।