পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রেরিত হইবে। হুগলী, বৰ্দ্ধমান ও ২৪-প য়ু বালিক-বিদ্যালয় স্থাপনার জন্য অনধিক এক হাজার টাকার সাহায্যের জন্য ও ইহাতে অনুরোধ থকিবে। সেই টাকার কিয়দংশ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র-প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলির সাহ:্যর্থ এবং কিয়দংশ সরকার-সমর্থিত কতকগুলি মডেল স্কুলের জন্তু ব্যয় করা হইবে।” কিন্তু বিলাতের কর্তৃপক্ষ সিপাহী-বিদ্রোহের জন্য আর্থিক অনটনবশতঃ বালিক-বিদ্যালয়গুলিতে কোন স্থায়ী সাহায্য করিতে অস্বীকার করিলেন —তবে আশা দিলেন, বিষয়টা ভবিষ্কৃতে "চিত হইবে। ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে বিদ্যাসাগর সরকারী চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন। শুনা যায়, বালিক-বিদ্যালয় সম্পৰ্কীয় ব্যাপারে ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকশনের সহিত মতান্তরই না-কি তাহার পদত্যাগের অন্যতম কারণ। মাসিক ৫০০ টাকার আয় হ্রাস, সরকারের সাহায্যদানে অসম্মতি,—এ সর্য কিছুতেই তৎপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরকে নিরাশ করিতে পারিল না। বালিকা-বিদ্যালয়গুলির পরিচালনের জন্য তিনি এক নারীশিক্ষ-প্রতিষ্ঠান ভাণ্ডার খুঠিলেন ; ইহাতে পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ প্রমুখ বহু সন্ত্রান্ত দেশীয় ভদ্রলোক এবং উচ্চতম সরকারী কর্মচারীরা নিয়মিত চাদ দিতেন । স্ত্রীশিক্ষার বিস্তারে তাহার প্রচেষ্টা যে দেশবাসীর আল্লকুল্য লাভ করিয়াছে, তাহা সার বার্টল ফ্রিয়ারকে লিখিত তাহার একথানি পত্রে প্রকাশ :– “শুনিয়া মুখী হইবেন, মফস্বলের যে-সকল বা ৭-বিদ্যালয়ের জন্য আপনি চাদ দিয়াছিলেন, সেগুলি ভালই চলিতেছে। কলিকাতার নিকটবর্তী জেলাসমূহের লোকেরা স্ত্রীশিক্ষার সমাদর করিতে আরম্ভ করিয়াছে। মাঝে মাঝে নূতন নূতন স্কুলও খোলা হইতেছে।”