পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ট্রীশিক্ষ-বিস্তার ఇచి ছোট লাট বীড়ন সাহেবও মাসিক ৫৫ টাকা সাহায্য করিয়া পণ্ডিতকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন। আগেই বলিয়াছি, ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাবের আগস্ট মাসে বিদ্যাসাগর বীটনস্কুল-কমিটির সম্পাদকের পদ গ্রহণ করেন। ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তিনি উক্ত কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তাহাকে নানা কাজে ব্যাপৃত থাকিতে হইত, কাজেই সময় তাহার বেশী ছিল না, তবুও বীটন-বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য তিনি যথেষ্ট চেষ্টা করিতেন । ১৫ ডিসেম্বর ১৮৬২ তারিখে বিদ্যাসাগর বাংলা-সরকারকে বীটন-বিদ্যালয় সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পাঠান। র্তাহার সম্পাদক থাকিবার কালে বিদ্যালয়ের অবস্থা কেমন ছিল, তাহার আভাস এই রিপোর্টে পাওয়া যায় : “পঠন ও লিখন, পাটীগণিত, জীবনচরিত, ভূগোল, বাংলার ইতিহাস, নান| বিষয়ে মৌখিক পাঠ, এবং স্বচীকার্য্য শিক্ষণীয় বিষয়। বাংলা-ভাষার মধ্য দিয়াই ছাত্রীগণকে শিক্ষা দেওয়া হয়। এক জন প্রধান শিক্ষয়িত্রী, দুই জন সহকারিণী এবং দুই জন পণ্ডিত-এই পাঁচ জন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ।. কমিটির মত এই, ১৮৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে...বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা যেরূপ দ্রুত বাড়িয়া চলিয়াছে, তাহা দেখিয়া কমিটি বিশ্বাস করেন, যাহাঁদের উপকারের জন্য বিদ্যালয়টি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়, সমাজের সেই শ্রেণীর লোকের কাছে ইহা ক্রমেই সমাদর লাভ করিতেছে। বড়লোকেরা এখনও সাক্ষাৎভাবে বীটন-বিদ্যালয়ের সুবিধা গ্রহণ করিতে অগ্রসর হন নাই ; এই শ্রেণী হইতে অতি অল্পসংখ্যক ছাত্রীই স্কুলে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। অনেক সম্পন্ন-ঘরেই কিন্তু মহিলাদের জন্য গৃহশিক্ষার আয়োজন হইয়াছে—ইহা দেখিয়া কমিটি আনন্দানুভব করিতেছেন। বিশেষ ভাবে বীটন-স্কুলের হিতকর প্রভাবই যে ইহার কারণ-ইহাই কমিটির বিশ্বাস।”