পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার ፄ6: এক দল দেশীয় শিক্ষয়িত্ৰী গড়িয়া তুলিবার উদেখে আপাততঃ বীটনবিদ্যালয়েই একটি নর্মাল স্কুল স্থাপিত করিবার জন্য মিস্ কাপেন্টার আন্দোলন উপস্থিত করিলেন। কেশবচন্দ্র সেন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, এম. এম ঘোষ প্রমুখ এদেশীয় জনকয়েক গণ্যমান্ত লোক এই আন্দোলনের সপক্ষে ছিলেন। মিস্ কাপেণ্টারের সহিত র্তাহার প্রস্তাবের ঔচিত্য বিবেচনা করিয়া দেখিবার জন্য তাহাদের চেষ্টায় ব্রাহ্মসমাজে একটি সভার আয়োজন হয় ( ১ ডিসেম্বর ১৮৬৬ )। বিদ্যাসাগর ও ইহাতে আহূত হইয়াছিলেন। এই সভায় যে কমিটি গঠিত হয়, বিদ্যাসাগর তাহার এক জন সভ্য নির্বাচিত হন। স্থির হয়, কমিটি প্রস্তাবিত নর্মাল স্কুল স্থাপন বিষয়ে সরকারের নিকট আবেদন করিবেন। সূতার কার্য্যাবলী সম্বন্ধে অসন্তুষ্ট হইয়া বিদ্যাসাগর কমিটিভুক্ত থাকিতে অস্বীকার করেন ; তিনি লিখিয়া পাঠান : “আমার মতে, কোন-কিছু করিবার পূৰ্ব্বে স্ত্রীশিক্ষ-ব্যাপারে যাহারা অনুরাগী, সমাজের সেই সব মান্তগণ্য ব্যক্তির মতামত জানা উচিত ছিল। কিন্তু সভাতে র্তাহাদিগকে আহবানহ করা হয় নাই, এবং তাহদের সাহায্যও চাওয়া হয় নাই ; এ অবস্থায় সরকারের নিকট প্রস্তাবিত আবেদনে আমার নাম সংযুক্ত রাখা সমীচীন বলিয়া মনে করি না। প্রকৃতপক্ষে, যখন আমাকে সভায় উপস্থিত হইতে বলা হয়, তখন সোজাসুজি ই ই পুfiয়ছি পাম যে, মিস কাপেণ্টারের সহিত ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করাই সভার উদ্দেশ্য ; তখন ঘূণাক্ষরেও ভাবি নাই যে, উহা যথারীতি স - হইবে অথবা এরূপ গুরুতর প্রশ্নের মীমাংসা এত সংক্ষেপ হইতে পারে। সুতরাং এই ব্যাপারে আমি এমনই আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলাম যে, সভার আলোচনায় যোগদান অথবা আলোচ্য বিষয়ে মত প্রকাশ করা সম্ভব হয় নাই ।