পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণকুমারী ও বাংলা-সাহিত্য রবীন্দ্রনাথের যুগান্তকারী প্রতিভার প্রথর দীপ্তিতে বাংলাদেশে ছেসকল স্বয়ংপ্রভ জ্যোতিষ্ক অ্যাপি স্নান হইয়া আছে, রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠা সহোদর স্বর্ণকুমারী দেবী তাহাদের অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ ‘প্রভাব এখন অন্তরালে গিয়াছে। আমাদের মনে হয়, অত:পর বিস্তৃত ও বিলুপ্তপ্রায় জ্যোতিষ্কের স্ব স্ব মহিমায় প্রতিষ্ঠিত হইবার স্বযোগ পাইবেন । আমাদের ক্ষুদ্র জীবনীটি বাংলা দেশের বর্তমান সাহিত্যরসিক-সমান্ত্রে স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্য-কীষ্টির কিছু পরিচয় বহন কৱিবে । ইংরেজী সভ্যতা ও সাহিত্যের সহিত সংযোগের পর বাংলাদেশের সাহিত্যে যে নবজাগরণ হয়, স্বর্ণকুমারী দেবীর কণ্ঠেই দেশের নারীসমাজের পক্ষে তাহার প্রথম কলগীতি ধ্বনিত হইয়া উঠে। প্রথম হইলেও তাই অক্ষুট কলগনিমাত্র নয়। গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কৌতুক-নাট্য, প্রহসন, কবিতা, প্রবন্ধ (সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক ) --সাহিত্যের প্রায় সকল বিভাগেই র্তাহার দানের পরিমাণ বিপুল । উৎকর্ষের দিক দিয়াও তাহ যে গণনার অযোগ্য ন", স্বর্ণকুমারী দেবীর রচনাবলী যাহারা পাঠ করিবেন, তাহাদের কাছেই তাহা স্পষ্ট হইবে। এইগুলি অপঠিত আছে বলিয়াই স্বর্ণকুমারী সাহিত্যক্ষেত্রে তাদৃশ বিখ্যাত হন নাই—যদিচ সাহিত্য-সম্রাঙ্গী নামে অভিহিত করিয়া দেশের লোক এবং জুগন্তারিণী-পদক দিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহার সম্মান করিয়াছেন। কিন্তু এই সকল সন্মানের মূলে র্তাহার প্রতিভার প্রতি থাতির ততখানি নাই—যতখানি বঙ্গীয় নালীসমাজে डिर्मिहे