পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պէ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসা: | বীটন-বিদ্যালয়ের জন্য যে পরিমাণ অর্থব্যয় হয়, ফল তাহার অনুরূপ হয় নাই,-এ বিষয়ে আপনার সহিত আমি একমত। কিন্তু তাই বলিয়া বিদ্যালয়টি একেবারে উঠাইয় দেওয়া সঙ্গত মনে করি না। যে মানব-হিতৈষী মহাত্মার নামের সহিত বিদ্যালয়টির নাম সংযুক্ত, তিনি ভারতে নারীজাতির শিক্ষাধিস্থ বিকল্পে যাহা করিয়া গিয়াছেন, তাহার স্মারক-রূপেও সরকারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বায়ভার বহন করা অবশ্যকৰ্ত্তব্য। মফস্বলের বালিক-বিদ্যালয়গুলির পক্ষে আদর্শরূপে কাজ করিবে বলিয়াও এইরুপ শহরের মাঝখানে প্রতিষ্ঠিত এক সুব্যবস্থিত পীলিকা-লিপ্লাদশের প্রয়োজন আছে। হিন্দু সমাজের উপর এই বিদ্যালয়টির নৈতিক প্রভাব যথেষ্ট। চারি পাশের জেলাসমূহে স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তারের পক্ষে প্রকৃতপক্ষে ইহা পথ প্রস্তুত করিয়াছে ; তাই আমার বিবেচনায় ইহার পিছনে বছরে বছরে যে বিপুল অর্থব্যয় হয়, তাহা সার্থক বলিতে হইবে। কিন্তু এ কথাও সত্য, বায়ুসঙ্কোচ ও উন্নতির যথেষ্ট অবসর আছে। কাৰ্য্যকারিতার হানি না করিয়াও বিদ্যালয়ের খ, দ্ধেক কমাইতে পারা যায় । স্বাস্থ্যলাভের আশায় দীর্ঘকালের জন্য উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বায়ু পরিবর্তনে যাইতেছি। বীটুন বিদ্যালয়ের পুনর্গঠন-সম্বন্ধে যদি আমার মতামত জানিতে চান, তাহ হইলে কলিকাতা : আপনার ফিরিয়া আসা পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিতে ও সাক্ষাতে আয় ; মা করিতে পারি।” ( ১ অক্টোবর ১৮৬৭ ) কিন্তু বাংলা সরকার মিস্ কাপেণ্টারের কল্পিত ব্যবস্থার অনুমোদন করিলেন। শীঘ্র ইহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবার সুযোগও ঘটিল।