পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

婚的 মীর মশারফ হোসেন খিছেন। তার সাহিত্যিক প্রতিভা সম্বন্ধে অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় বাছালিখিয়া গিয়াছেন, তাহা প্রণিধানযোগ্য :– মীর সাহেবের পূৰ্ব্বে মুসলমান-লিখিত বঙ্গসাহিত্যে কবিত্ত ছিল, পড়িবার মত গদ্য ছিল না। এখন অনেকে মুখপাঠ্য গল্প গ্রন্থ রচনা করিতেছেন, মুসলমান গদ্যলেখকবর্গের মধ্যে এখন পর্য্যন্তও মীয় সাহেব সৰ্ব্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ গদ্যলেখক বলিয়া পরিচিত। ইনি অ্যাপি সাহিত্যসেবায় ব্যাপৃত আছেন। কুষ্টিয়ানিবাসী মীয় মশারফ হোসেন বাল্যকাল হইতেই বঙ্গসাহিত্যে নিতান্ত অনুরক্ত । কাঙ্গাল হরিনাথ ইহার সাহিত্যগুরু ; প্রথমে গ্রামবাৰ্ত্তা’র পরে প্রভাকরে লিথিয় লিথিয় লেখা শিথিয় স্ট্রর সাহেব আজিজন নেয়ার নামক একখানি সংবাদপত্র প্রকাশিত করেন। মুসলমান-সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে তাহাই সৰ্ব্বপ্রথম বলিয়া পরিচিত। তাহার পর বহু গ্রন্থ লিখিয়া বঙ্গীয় লেখকবর্গের মধ্যে উচ্চাসন লাভ করিয়াছেন। কুষ্টিয়া একদা নীলগ্রিহের প্রধান ক্ষেত্র হইয় উঠিয়াছিল। তাহার যথার্থ কাহিনী মীর সাহেব, উদাসীন পথিকের মনের কথা' নামক এক বিচিত্র উপষ্ঠাসে লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন । পল্লীনিবাসী মুসলমান লেখক কিরূপ ঘটনাচত্রে পতিত হইয় সাহিত্যসেবায় নিযুক্ত হইয়াছেন, তাহ সবিশেষ কৌতুহলপূর্ণ। ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বে দেশে এত কাগজ ছিল না, এত গ্রন্থ ছিল না, এত মুদ্রাযন্ত্র ছিল না, ছিল গুরমহাশয়ের পাঠশালা বা দুই একটি বঙ্গবিদ্যালয়, দুই চারিখানি কলেজ এবং দুই দশখান ভাল পুস্তক। তৎকালে একজন মুসলমানের পক্ষে ঙ্গল ৰাঙ্গালা রচনা করিবার বহু বাধাবিঘ্ন বর্তমান ছিল। তাই অতিক্ৰম করিয়ামীর মশারফ হোসেন যে সাহিত্য-শক্তি লাভ করিয়াছেন, তাহ অল্প ক্লাঘার বিষয় নহে । ( প্রদীপ, را به دام গ্রন্থাবলী : মীর মশাররফ হোসেনের রচিত পুস্তকগুলির একটি তালিকা দিতেছি । বন্ধনী-মধ্যে প্রদত্ত ইংরেজী প্রকাশকাল বেঙ্গল লাইব্রেরি-সঙ্কলিত মুঞ্জিত-পুস্তকাদির তালিকা হইতে গৃহীত।