পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| כיכ S8 মীর মশাররফ হোসেন বড় ধনী দরিদ্র কলহে লিপ্ত হইলে দরিদ্রের দুর্দশার একশেষ হয়। বিচার প্রণালীর দোষে বহু ব্যয় করিয়া মুক্তিলাভ করিতে দরিদ্রের প্রাণান্ত ঘটিয়া থাকে, কখন বা এত করিয়াও সুবিচার প্রাপ্ত হওয়া যায় না। এই দোষ ইংরাজের মহে, দেশীয় কর্মচারীর, গালী মিয়। সেই কথা বুঝাইবার জন্ত মান কথা অবতারণ করিয়াছেন •••রাজা প্রজা সকলের পক্ষেই এরূপ গ্রন্থ সবিশেষ শিক্ষাপ্রদ। গাজী মিয়" কে ? কে এই কল্পিত নামের অন্তরালে থাকিয়া এরূপ সুতীব্র সমালোচনায় রাজা প্রজা ধনী দরিদ্র পণ্ডিত মূর্থের কায্যকলাপের মৰ্ম্মোনাটন করিয়াছেন ? পুস্তক পড়িয়া এই কথা মনে হইবামাত্র দেখিলাম, গাজী মিয়ার আত্মগোপনচেষ্টা সফল হয় নাই। পুস্তকের সর্বত্র হার পরিচয় পরিস্ফুট। তিনি একজন স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ স্বদেশভক্ত অনুরক্ত মুসলমান সাহিত্য-সেবক। মুসলমান সাহিত্য-দেবকের সংখ্য অল্প, তন্মধ্যে “বিষাদ-সিন্ধুরচয়িত" স্ত্রীযুক্ত মীর মশারফ হোসেন ভাই সাহেব বাঙ্গালী গদ্য রচনার জন্য সুপরিচিত। ষে লেখনী হইতে 'বিষাদ-সিন্ধু প্রস্থত হইয়াছে, গাজী মিয়ার বস্তানীও যে সেই লেখনী হইতে প্রস্থত হইয়াছে, তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ হয় না । এমন ভাষা, এমন ভাব, এমন কাহিনীবিষ্ঠাসপুকৗশল মুসলমান সাহিত্য-সেবকদিগের মধ্যে এ পর্য্যন্তও কেবল 'বিষাদ-সিন্ধুর রচয়িতাতেই লক্ষিত হইয়াছে।" ( প্রদীপ, গৌষ ১৩০৮) ১২ । মৌলুদ শরীফ (গদ্য-পদ্য) ৷ ইং ১৯০৩। মুসলমানের বাংলা শিক্ষা : ১ম ভাগ । ( ১ অক্টোবর ১৯০৩ ) । ২য় ভাগ । ( ১৫ মে ১৯০৮)। পৃ. ৫৩ ৷ বিবি খোদেজার বিবাহ (কবিতা)। ( ২৫ মে ১৯০৫ )। ১৫। হজরত ওমরের ধৰ্ম্ম-জীবন লাভ (কবিতা ) । ১ শ্রাবণ ১৩১২ ( ১১ আগস্ট ১৯০৫ ) , পৃ. ৪২ ৷