পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার ציט যত দিন কলিকাতায় থাকিবে, তত দিন নর্মাল স্কুলটি ষে বিশেষ ফললাভ করিবে, এমন আশা তিনি করেন না। কিন্তু তবুও মর্মাল স্কুল প্রতিষ্ঠায় তিনি আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছেন।” বিদ্যাসাগরের কথাই ফলিল । তিন বৎসর যাইতে না যাইতেই পরবর্তী ছোট লাট সার জর্জ ক্যাম্পবেল বীটন-বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট নর্মাল স্কুলটি তুলিয়া দিবার আদেশ দিলেন । এইরূপ অম্বষ্ঠানকে সফল করিতে গেলে দেশের রীতি ও সংস্কার অনুসারে যে তাহ প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত করিতে হইবে, এ-বিষয়ে তাহার নিশ্চিত ধারণা হইয়াছিল। ডিরেক্টরের নিকট নিম্নলিখিত আদেশ-পত্র প্রেরিত হইল : “সাধারণভাবে সমস্ত বিষয়টি পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে বেশ বুঝা যায়, তিন বৎসর ধরিয়া পরীক্ষা করিবার পরও ফিমেল নর্মাল স্কুলটিকে সফল করিতে পারা যায় নাই । এ-সব বিষয়ে র্যাহারা বিশেয অভিজ্ঞ, সেই সব মহিলার সহিত ছোট লাট প্রায় একমত । তাহাদের মত এই, নারীদের ধৰ্ম্মসংস্রবহীন শিক্ষা ও সঙ্গে সঙ্গে কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা দেওয়া বড়ই বিপদজনক । অতএব ৩১ জানুয়ারী ১৮৭৮ তারিখের পর ফিমেল নর্মাল স্কুলটি বন্ধ করিয়া দেওয়া হোক ৷” ( ২৪ জানুয়ারি ১৮৭২ ) উপরে লেখা হইতে বুঝা যাইবে, বাংলা দেশে স্ত্রীশিক্ষার বিস্তারে বিদ্যাসাগরের কি উৎসাহ ও আগ্রহই ন ছিল। ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দের জুলাই মাসে তাহার মৃত্যু হইলে, এক হিন্দু মহিলা-সঙ্ঘ বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষার এইরূপ ব্যবস্থা করেন :– “বীটন-বিদ্যালয়ের কমিটি জানাইতেছেন, কলিকাতাস্থ মহিলাঅনুষ্ঠিত বিদ্যাসাগর-স্মৃতিরক্ষ-কমিটির সম্পাদকের নিকট হইতে N)