পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*& ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগস্থ - “ সরকারী কৰ্ম্মচারীর পক্ষে সদুদ্ধেশ্ব-প্রণোদিত হইয়া কাজ করা এক প্রধান গুণ। এইরূপ সন্ধুদ্ধেঙ্গের বশবৰ্ত্তী হইয়া ইহা অপেক্ষ অল্পও বলিতে পারি না,—অধিক বলিতেও ইচ্ছুক মই । আমার ক্ষুদ্রশক্তি অনুযায়ী যত দূর সম্ভব উৎসাহসহকারে কর্তব্য পালন কবিয়ছি, এষ্ট তৃপ্তি হৃদয়ে লইয়া আমি অবসর গ্রহণ করিতেছি। আশা করি, সরকার চিরদিন আমার প্রতি যে অবিচলিত অনুগ্রহ, বিবেচনা এবং স্নেহ প্রকাশ করিয়া আসিয়াছেন, তজ্জন্য আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা নিবেদন দুষ্টত বলিয়; বিবেচিত হইবে না ।” শিক্ষা-বিভাগের ডিরেক্টর বিদ্যাসাগরের পদত্যাগ-পত্র অতুমোদন করিয়া, মঞ্জুরীর জন্ত সরকারের কাছে পাঠাইলেন। অনেকে বলিয়া থাকেন, বালিক-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত ব্যাপারে ডিরেক্টরের সহিত বিরোধের ফলেই বিদ্যাসাগর পদত্যাগ করেন। কিন্তু হালিডেকে লিখিত বিদ্যাসাগরের একখানি --সরকারী পত্রে প্রকৃত কারণগুলি প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে। বিদ্যাসাগর লিখিতেছেন,— “বিশেয চিন্তা করিয়া দেখিলাম, আমার পদত্যাগ-পত্রের যে-অংশগুলি আপনার কাছে আপত্তিকর ঠেকিয়াছে, সঙ্গতি বা উচিত্যের দিক্ দিয়া সে-অংশগুলি আমি উঠাইয়া লইতে পারি না। শারীরিক অসুস্থতা আমার পদত্যাগের একটি প্রধান কারণ বটে, কিন্তু বিবেকধৰ্ম্মানুসারে বলিতে গেলে ইহাকে একমাত্র কারণ বলিতে পারি না । তাহাই যদি হইত, তাহ হইলে দীর্ঘ অবসর গ্রহঃ শরিয়া আমি স্বাস্থ্যের উন্নতি করিতে পারিতাম। বর্তমান অবস্থায় সরকারী চাকুরী করা যে আমার পক্ষে অনেক সময় অপ্রতিকর এবং অসুবিধাজনক বোধ হইয়াছে, এবং যে-ব্যবস্থার উপর নির্ভর করিয়া বাংলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চলিতেছে, তাহাতে যে অর্থের অপব্যয় হইতেছে