পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為等 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউশন গুণানুসারে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিল। দেশীয় লোকের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের এই সাফল্য দেখিয়া সকলেই বিস্ময়ান্বিত হইয়াছিল। প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্থার সার্ভূক্লিফ সাহেব বলিয়াছিলেন, “পণ্ডিত তাক লাগাইয়া দিয়াছেন ।” ১৮৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দে মেট্রোপলিটান ফাস্ট গ্রেড কলেজে পরিণত হইল, এবং ১৮৮১ খ্ৰীষ্টাব্দে এখান হইতে ছাত্রের বি. এ. পরীক্ষা দিতে প্রেরিত হইল। পরীক্ষার ফল ভালই হইল । ইউরোপীয় শিক্ষকের সাহায্য ব্যতীত কোন কলেজ যে ভাল চলিতে পারে অথবা অধ্যাপনা ভাল হইতে পারে, ইহা লোকের ধারণার অতীত ছিল। বিদ্যাসাগর নিজের কলেজে ভারতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত করিয়া দেখাইলেন, কলেজের অধ্যাপনায় বিলাতী অধ্যাপকেরাই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ নয়, ভারতীয় শিক্ষকের দ্বারা অম্বুরূপ, এমন কি, কোন কোন বিষয়ে উৎকৃষ্টতর শিক্ষার ব্যবস্থা প্রবর্তিত করা যাইতে পারে। মেট্রোপলিটানের সাফল্য দেখিয়া অন্যান্ত কলেজ হইতে অনেক ছাত্র এই কলেজে ভর্টি হইতে লাগিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় শিক্ষা বিস্তারের এক নূতন দিক্‌ খুলিয়া দিলেন। সত্য কথা বলিতে কি, বে-সরকারী কলেজ প্রতিষ্ঠার তিনিই প্ৰবৰ্ত্তক। তিনি যখন যে-কাজে হাত দিতেন, , মে-কাজ সাথক না করিয়া ক্ষান্ত হইতেন না। তা ছাড়া, শিক্ষা-বিষয়ে তাহার অভিজ্ঞতা ছিল বিপুল। সারা বাংলার শিক্ষা-বিস্তারে যেপ্রতিভা নিযুক্ত ছিল, তাহা একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীভূত হওয়াতে সেই প্রতিষ্ঠান অতুলনীয় সফলতা লাভ করিল। বিদ্যাসাগরের আর একটি বড় গুণ ছিল । তি, পরের উপর নির্ভর করিয়া থাকিতেন না, সকল কাজ নিজে দেখিতেন। তিনি অনেক সময় বিদ্যালয়ে হঠাৎ উপস্থিত হইয়া দেখিতেন, নিয়ম-মত