পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নামক যে-পুস্তক তিনি রচনা করিয়াছিলেন, তাহ ন হয় নাই। ঐ রচনার যেটুকু আমাদের হস্তগত হইয়াছে, তাহাতে পারা যায়, বিদ্যাসাগর তখন সবেমাত্র পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছেন, গমার শিল্পরূপ তখনও তিনি ধরিতে পারেন নাই। সিবিলিয়ান সাহেবদের জন্য পাঠ্য , গুস্তক রচনা করিতে বসিয়া তিনি বাংলা ভাষার ভবিয়ংসম্ভাবনার কথা নিশ্চয়ই মনে মনে পুলক বিস্ময়ের সহিত অতুভব করিয়াছিলেন, তাহা না হষ্টলে উপক্ৰমণিকা, ঋজুপাঠের পথেই তাহার গতি দীর্ঘপ্রসারী হইত, ‘শকুন্তল, ‘সীতার বনবাসীকে ভিত্তি করিয়া বাংলা-সাহিত্য আজ এমন বিরা সৌধের গৰ্ব্ব করিতে পারিত না। উদারহৃদয় ঈশ্বরচন্দ্র নিজের প্রতিভাগুণে শিল্পিজনস্থলভ সৃষ্টির আনন্দে মত্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু ইহাকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য করিতে পারেন নাই। বাংলা দেশের অসহায় শিশু ও বালকবালিকাদের কথা স্মরণ করিয়! আপন শিল্পপ্রতিভাক দমন করিয়াছিলেন এবং তাহদের জন্য ‘বর্ণপরিচয়, বোধোদয়, ‘কথামাল, উপাখ্যানমগ্নীরূপ চিরস্থায়ী থেলমা সৃষ্টি করিয়া নিজের বৃহত্তর শিল্পস্বষ্টিকে খণ্ডিত করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের সাহিত্যিক প্রতিভা • বিশ্লেষণ করিতে বসিয়া আমরা সাক্ষ্য-স্বরূপ খুব উচ্চ ধরণের কোনও স্বষ্টিকে বিচারকের সম্মুখে দাখিল করিতে পারি মা বটে, কিন্তু এ কথা নি:সংশয়ে স্বীকার করিতে বাধ্য হই যে, গোট বাংলা ভাষাটস তাহার প্রতিভার সাক্ষ্যস্বরূপ দীর্ঘকালের জন্য রহিয়া গেল। আর একটি কথা এখানে বল প্রয়োজন । যাহারা মনে করেন, বিদ্যাসাগরের লেখনী অনুবাদের পথেই মূৰ্ত্ত হইয়াছে—তাহার নিজস্ব প্রতিভা নাই, তাহারা তাহার রচিত মৌলিক রচনাগুলির সহিত পরিচিত নহেন। তাহার সংস্কৃতভাষা ও সংস্কৃতসাহিত্যবিষয়ক প্রস্তাব, ‘বিধবাবিবাহ, বহুবিবাহ, ‘আত্মচরিত’ এবং বেনামী রচনাগুলি পাঠ