পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যারিষ্টারি * ‘ভারতী’র সম্পাদিক। প্রভাতকুমারের সাহিত্যিক প্রতিভার প্রতি তাহার শ্রদ্ধা ছিল । টেলিগ্রাফ আপিসে কাৰ্য্যকালে ‘ভারতী’-সম্পাদিকার সহিত প্রভাতকুমারের আলাপ-পরিচয়ের স্বচনা হয় । উভয়ের পরিচয় ক্রমে ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হইলে স্থির হয়, সরলা দেবীর মাতুল সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যয়ে প্রভাতকুমার ব্যারিষ্টার হইবার জন্ত বিলাত যাত্র করিবেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। দেশে ফিরিলে যথারীতি বিবাহ হইবে । ১৯০১ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি প্রভাতকুমার কাহাকেও কিছু না জানাইয়ু বিলাত যাত্রা করেন । ইহার অল্প দিন পূৰ্ব্বে (ইং ১৯০০ ) তাহার পি তাঁর মৃত্যু হইয়াছিল। তাহা । মাত। তখন সদ্য বৈধব্যশোকে কাতরা । প্রভাতকুমার অত্যন্ত মাতৃভক্ত ছিলেন ; পাছে মাতা আপত্তি করিয়া বসেন, এই ভয়ে তিনি তাহার নিকটও বিলাতযাত্রার কথা পূৰ্ব্বাষ্ট্রে ব্যক্ত করেন নাই । তিন বৎসর পরে, ১৯০৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষে প্রভাতকুমার ব্যারিঞ্জার হইয়া দেশে ফিরিলেন । কিন্তু নূতন করিয়া সংসার পাতা তাহার ভাগ্যে আর ঘটয় উঠে নাই, তাহার মাত! এই বিবাহে সম্মভি দেন নাই। এই অপ্রত্যাশিত আঘাত তাহার মৰ্ম্মমূলে এক দুরপনেয় ক্ষত সৃষ্টি করিয়াছিল,—তিনি চিরতরে সংসার-ধৰ্ম্মের আশায় জলাঞ্জলি দিয়াছিলেন । दोब्लिकेखि বিলত হইতে ফিরিয়া প্রভাতকুমার অল্প দিন দাৰ্জিলিঙে ছিলেন । সেখানে প্রাকৃটিসের স্ববিধা হইবে না বুঝিয়া তিনি ১৯০৪ খ্ৰীষ্টাব্দের জুলাই মাসে রংপুর গমন করেন । তথায় চারি বৎসর প্র্যাক্টস